থমথমে টিলাগড়, ছাত্রলীগের তান্ডবের প্রতিবাদে রাজপথে ব্যবসায়ীরা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ রোববার রাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর থেকে নগরীর টিলাগড় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফের যেকোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সংঘাত ঠেকতে টিলাগড় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আতঙ্কে টিলাগড় এলাকার বেশিরভাগ দোকানপাটই আজ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বন্ধ ছিলো।
এদিকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলাকালে টিলাগড়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছেন টিলাগড় এলাকার ব্যবসায়ীরা। আজ (সোমবার) তারা মানববন্ধন ও মিছিল করে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ব্যাসায়ীরা।
রবিবার রাতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে দুটি রেস্টুরেন্ট ও একটি ফাস্টফুডের দোকান ভাংচুর করে সংঘাতকারীরা। সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে তিন জন আহত হন। এঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকীদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন শাহপরান থানার ওসি নিজাম উদ্দিন।
এদিকে, আজ দুপুরে টিলাগড় বাজার উন্নয়ন কমিটির ব্যানারে মৌন মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন ব্যবসায়ীরা। মিছিলটি টিলাগড়সহ আশপাশের কিছু সড়ক প্রদক্ষিন করে। এরপর টিলাগড় পয়েন্টে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন তারা।
মানববন্ধন চলাকালে ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, নিজেদের দলীয় কোন্দেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে নিরীহ ব্যাসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এসময় ব্যবসায়ীরা ৪৮ ঘন্টার ভিতরে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষনা দেন।
ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে ও আবদুল হানিফ কুটুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, সমর উদ্দিন মানিত, মতিউর রহমান মতি, আজহারুল ইসলাম, সুবেদুর রহমান মুন্না, নুরুল ইসলাম, সাঈদ আহমদ সাঈদ, আমিনুল ইসলাম সুহেল, সুহেল আহমদ, আবদুল অদুদ সুহেল, শমসের আলী, আবদুল কাইয়ুম লিটন, শামীম আহমদ, তারেক আহমদ, জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তব্য বলেন, রবিবার রাতে টিলাগড় বাজারে প্রথমে আজমীর রেষ্টুরেন্ট, পরে হোটেল রুমী রুমান ও বন্ধ থাকাবস্থায় তালা ভেঙ্গে ফুড গ্যালারীসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা ভাংচুর ও লুটপাট এবং ব্যবসায়ীদের উপর হামলা করে। সন্ত্রাসীরা এসময় প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে দাবি করে বক্তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।