রাজনগরের পাঁচগাও ইউনিয়নে কমিউনিটি কিনিকটি এখনও চালু হয়নি
বিশ্বাজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নে কমিউনিটি কিনিক। প্রায় দুই বছর হলো ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজনীয় লোকবল, সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে। কিন্তু ভবন হস্তান্তর না হওয়ায় রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কমিউনিটি কিনিকটি চালু হয়নি এখনও। বিভিন্ন গ্রামের গরিব ও সাধারন মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা থেকে। স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মধুর দোকান এলাকায় একটি কমিউনিটি কিনিক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ১২ লাখ টাকায় ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পায় সিলেটের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় দুই বছর হয়েছে কিনিক ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার ভবনটি হস্তান্তর করে নাই। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগ ওই কিনিকটির জন্য একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রেভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমানে টেংরা ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি কিনিকের শূন্যপদে ওই সিইচসিপি কাজ করছেন। কিনিকটির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ওষুধসহ যাবতীয় সরঞ্জাম। কিন্তু ভবনটি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বুঝে না পাওয়ায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে কমিউনিটি কিনিকের নির্ধারিত এলাকার শত শত মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাঁচগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাস মঞ্জু বলেন, আমি অনেক ছেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এখনো এটি চালু হচ্ছে না। রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পার্থ সারথি দত্ত বলেন, ভবনটি হস্তান্তরের জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৬নং টেংরা ইউনিয়নের, ৩নং ওয়াডের সৈয়দনগর কমিউনিটি কিনিক বন্ধ দেখা যায়, কিনিকটি বন্ধ থাকায় এলাকার সাধারন মনুষ বলেন ডাক্তাররা ইচ্ছা সাধিন মতে আসা যাওয়া করেন, ঔষধ থাকলেও পাওয়া যায় না। তাদের পরিচিত লোকদেরকে ঔষধ দিয়ে থাকেন, ঐ এলাকার প্রভাবশালী লোকের দখলে থাকায় আমরা সাধারন মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ভাংগারহাট বাজারের ব্যবসায়িগণ জানান ভাই আপনিত দেখে আসছেন আমরা আর কি বলব, আপনিত নিজ চোখে দেখছেন। আমাদের নাম পত্রিকায় লিখবেন না। আমাদের সমস্য হবে।