গোলাপগঞ্জে ৭ গবাদি পশুর মৃত্যু, পানিসম্পদ অফিসের উদাসীনতা
নোমান মাহফুজঃ গোলাপগঞ্জে ফুট পয়জনিং রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭টি গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।গোলাপগঞ্জ পানিসম্পদ অফিস এ ব্যাপারে উদাসীন। তাদের যেন কিছু করার নেই। গত কয়েকদিনে উপজেলার বুধবারী বাজার ইউনিয়নের মৃত নজির আলীর ছেলে সংবাদকর্মী সুহেল আহমদের গৃহপালিত একটি গাভীর অসুখ দেখা দেয়। এতে তিনি স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে পানিসম্পদ কর্মকর্তা মুহিউদ্দিনের মাধ্যমেও চিকিৎসা নেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত গাভীটি গত শনিবারে মারা যায়। পরের দিন আবার একই রোগে আক্রান্ত হয়ে তার আরেকটি গাভী মারা যায়।আজ সোমবার ভোর বেলা সোহেলের আরেকটি গাভীর বাচ্চা একই রোগে মারা যায়।সোহেলের সাথে কথা বলে জানা যায়,গাভী দুইটার মূল্য প্রায় সত্তর হাজার হবে।গাভীর বাচ্চার মূল্য দশ হাজার হবে।প্রায় মোট আশি হাজার টাকার ক্ষয়কক্ষতি হয়েছে তার।একি ভাবে উপজেলার বানিগাজি গ্রামের জয়নাল আবেদীন মাস্টারের চারটা গরুর একই রোগে মৃত্যু হয়।ঈদের আগের দিন একটা এবং ঈদের পরের দিন আরেকটা, এইভাবে মোট চারটা গরুর মৃত্যু হয়।এতে জয়নাল আবেদীন মাস্টারের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।এই ভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইদানীং ফুট পয়েজিং ও এনথ্রাক্স রোগে গবাদি পশু আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে ।এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পল্লী চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এনথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে গবাদি পশুগুলোর মৃত্যু হচ্ছে, কারণ এই রোগটা বিশেষ করে বিভিন্ন ভাইরাস রোগ থেকে সৃষ্টি হয়।পল্লী চিকিৎসক হিসেবে আমরা বিভিন্ন সময় এ ব্যাপারে পশু পালনকারীদের সচেতনতামূলক পরামর্শ দিয়ে থাকি।আবার অধিকাংশ সময় পশু পালনকারীদের অবহেলায়ও বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।যথাসময় টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও অবহেলা করে দেন না,এতে করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।উপজেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা মুহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কুশিয়ারা অঞ্চলের বিগত বন্যা পরিস্থিতিকে দোষারোপ করে বলেন,বন্যার কারণে ঘাস খড়কুটো পচে যাওয়ায় এ থেকে জীবাণু সৃষ্টি হয়েছে।এ জন্য বিভিন্ন ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু।এ ব্যাপারে উপজেলা পানি সম্পদ অফিস কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়টা এড়িয়ে যান।