শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিক পরিবারের ৮ জনকে অচেতন করে মালামাল লুট

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের এক সাংবাদিক পরিবারের ৮ সদস্যকে খাবারের সাথে বিশাক্ত চেতনাশক মিশিয়ে অচেতন করে ঘটে রক্ষিত নগদ টাকা,স্বর্ণলংকারসহ মুল্যেমান মালামাল লুটে নিয়েগেছে দুর্বৃক্তরা। তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্য হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। এর মধ্যে গুরুতর সৈয়দ মোহাম্মদ আলী ও সুমি আক্তারসহ দুজনকে সিলেট উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়েয়ে শ্রীমঙ্গল শহরের সুরভীপাড়ায় ভাড়াটিয়া বাসাতে। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন বরেছেন। তিনি জানান একই পরিবারের ওই আটজনকে অচেতন করে দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন
অচেতন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শ্রীমঙ্গল প্রেসকাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক জনতার সাবেক স্টাপ রিপোর্টার সৈয়দ মোহাম্মদ আলী (৬০) ও তার ছেলে সৈয়দ মোতাহেল আলী শাকিল (৩২) তার স্ত্রী মিনু কেগম, তার ভাই সৈয়দ বেলায়েত আলী শিমুল(২৮) ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫), সৈয়দ সৈয়দ শাওন, তার বন্ধু জাভেদ (২৫), সৈয়দ মোতাহেল আলী শাকিল এর মেয়ে সৈয়দ মুক্তা (৬) স্থানীয়রা জানায়, ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে নয় সদস্যকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তাদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা দুই জন্য কে অবস্থা আংশকাজনক হয তাদেরকে সিলেট ওসমীনী মেডিকেল সদর হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ও এসআই সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, রাতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তা খাইয়ে বাড়ির ৮ সদস্যকে অচেতন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তারা।