বিয়ানীবাজারে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৮
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদলের বিবদমান দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের কলেজ রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ রোডসহ পৌরশহরের উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট বিবদমান এ দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে মঙ্গলবার প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আক্রমনের শিকার উপজেলা ছাত্রদল নেতা আনোয়ার হোসেন লিটন ও বুরহান উদ্দিন। হামলার শিকার হয়ে তারা কলেজ রোডের একটি রেস্টুরেন্টে আশ্রয় নিয়ে সেখানেও হামলার শিকার হয়। এ সময় পথচারী যুবলীগ কর্মী আলমাছ হোসেনকে ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় উপস্থিত লোকজন তাদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মূলধারা গ্রুপের নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেলযোগে বেরিয়ে আসার পথে এ হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মূলধারা গ্রুপের ছাত্রদল কর্মী সুমন আহমদ বলেন, রোববার ছাত্রদলের মিছবাহ গ্রুপের সন্ত্রাসী ইমন, সজীব, সাহেদসহ ৮/১০ সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে কলেজ রোডে ছাত্রদল নেতা সাঈদ আহমদ একা পেয়ে হামলা চালায়। তিনি দৌড়ে একটি দোকানে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। আজ (গতকাল) এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আমরা জড়ো হলে ইমন, সজীব, সাহেদরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের হামলা চালায়। আমাদের আরও ৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
নিজের গ্রুপের কর্মীরা হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মিছবাহ উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। আমারা সিনিয়র পর্যায়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি। এ দুই পক্ষ এর আগেও সংঘর্ষ জড়িয়েছে বলে তিনি জানান।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবের আহমদ বলেন, ছাত্রদলের দুইটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত তিন জনকে সিলেট পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট ছাত্রদল মিছবাহ গ্রুপের কর্মী সজীবের সাথে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে মোটর সাইকেল পার্কিং করা নিয়ে ছাত্রদল মূলধারা গ্রুপের কর্মী সাঈদ আহমদের মধ্যে বাগবিতন্ডা ঘটে। এর জের ২৭ আগস্ট কলেজ রোডে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মিছবাহ গ্রুপের কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ তিন জন মারাত্মক আহত হয়। নোমান এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। গতকাল আগের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ছাত্রদল মিছবাহ গ্রুপের কর্মীরা ছাত্রদল মূলধারা গ্রুপের নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে মূলধারা গ্রুপ।