কদমতলীতে হানিফের বাস ও কাউন্টারে আগুন দিল বিক্ষুব্ধরা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ দুর্ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী ও ছেলেসহ ৬ জন নিহত হওয়ায় সিলেটের কদমতলী বাসটার্মিনালস্থ হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তারা হানিফ পরিবহনের তিনটি বাস ও কাউন্টারে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার জালালপুর নামক স্থানে সিলেটগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়।
এ দুর্ঘটনায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশের স্ত্রী মুর্শেদা বেগম ও ছেলে মেহেদী এবং এক সেনাকর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে কদমতলী বাস টার্মিনালস্থ হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে হামলা চালায়। এ সময় তারা কাউন্টার ও কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ২টার দিকে ২০/২৫ টি মোটরসাইকেলে একদল লোক হানিফ পরিবহনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে কদমতলী বাস টার্মনালের কাউন্টারে এসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় কাউন্টারের সামনে থাকা হানিফ পরিবহনের যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি লেগুনায়ও অগ্নিসংেযাগ করে বিক্ষোব্দরা। রাত ২টা ২০ মিনিটে সিলেট ও দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে। ঘটনাস্থলে যায় দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশও। রাত ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানান দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ অধির।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় এ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের সৈয়দপুরে সিলেটগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস সৈয়দপুরে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ যাত্রী নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। পরে হাসপাতালে আরও ৩ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশের স্ত্রী মোরশেদা বেগম (৪০) ও ছেলে মেহেদী (৪)। মোরশেদা বেগম অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এক সেনা কর্মকর্তারও এ দুর্ঘটনায় নিহত হন।