সাক্ষ্য দিলেন রাজনের বাবা ও বহিস্কৃত পুলিশ কর্মকর্তা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ পুত্র হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিলেন শিশু সামিউল আলম রাজনের বাবা আজিজুর রহমান। আজ আলোচিত এই হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) রাজনের বাবা ছাড়াও এই মামলার বাদি বহিস্কৃত পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সাক্ষ্য প্রদান করেন।
রাজন হত্যার আসামীদের পালাতে সহেযাগীতা ও মামলা গ্রহণে গড়িমসির দায়েই জালালাবাদ থানার এ্সআই আমিনুল ইসলামকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আজ দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আটক সকল আসামীর উপস্থিতিতে স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন বিচারক আকবর হোসেন মৃধা। আজ রাজনের মা লুবনা আক্তার স্বাক্ষ্য প্রদানের কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে লুবনা আক্তার আদালতে সাক্ষ্য দেননি।
আগামী ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টেবর মামলার পরবর্তী আরো ৮টি তারিখে লাগাতার স্বাক্ষ্য গ্রহনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলার মোট ৩৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামী সৌদি প্রবাসি কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তার সহোদর মুহিত আলম ওরফে মুহিত আলম, আলী হায়দার ওরফে আলী ও শামীম আলম, দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল ইসলাম, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নূর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্ল্যাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল।
তাদের মধ্যে সৌদি-আরবে আটক রয়েছেন কামরুল ইসলাম, শামীম আলম ও পাভেল ইসলামকে অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানো হয়েছে।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে হত্যা করা হয়। হত্যকান্ডের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দেশব্যাপি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। পুলিশ শুরুতে ঘটনাটি ধামাচাপ দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরবর্তীতে জনতার সহায়তায় আসামীদের আটক করতে সমর্থ হয়। তবে মূল আসামী কামরুল সৌদি আরবে পালিয়ে যায়।
হত্যাকাণ্ডের পর মহানগরীর জালালাবাদ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মুহিত আলমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
গত ১৬ আগস্ট ১৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার। এর আগে মুহিত আলমসহ ৮ জন এ ঘটনায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গত ২৪ আগস্ট আদালত এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ ৩ পলাতক আসামির মালামাল ক্রোক করে থানায় নিয়ে যান।