ঘনিয়ে আসছে দূর্গাপুজা, ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা
জীবন পাল, শ্রীমঙ্গল থেকে: কাঠামো তৈরির কাজ অনেক আগেই শেষ হলে এখন চলছে মূর্তিগুলোর শেষ পর্যায়ের ফিনিশিং এর কাজ। আর কয়েকদিন পর শুরু হয়ে যাবে রং তুলির কাজ। রং করার কাজ শেষ হলে তা শুকানোর প্রক্রিয়া চলে। তারপর পুজার আগের দিন যে যার এলাকার মন্দিরের মূর্তি নিতে ভীড় জমাবেন। তুলে দেওয়া হবে এলাকার কমিটির হাতে। আর সেই মূর্তিগুলো নিয়ে ঐসব এলাকার মন্দিরে মন্দিরে শুরু হবে মায়ের পূজার্চনা। মহা ধুমধামে ৩ দিন চলবে পুজা। তারপর বিশ্বর্জন। মৃৎশিল্পী অরবিন্দ পাল এর সাথে কথা বলে জানা গেল, বেশিরভাগ দূর্গা মূর্তি আসলে মন্দিরে মন্দিরে তৈরি করা হয়ে থাকে।দূর দূরাঞ্চলের মূর্তি সাধারনতো আমরা বানিয়ে থাকি। যেমন এবার আমরা ঢাকা,সিলেট,কুলাউড়া,রাজনগর ও মৌলভীবাজার এর কিছু কিছু এলাকার মন্দিরের জন্য মূর্তি তৈরির অর্ডার পেয়েছিলাম,দ্রুত গতিতে সেই কাজগুলো শেষ করতেই এখন ব্যস্ত। দূরের মূর্তিগুলো পুজার ২ দিন আগে ডেলিভারী দিতে হবে। আর আশেপাশের গুলো প্রতিবারেই সাধারনতো পুজার আগের দিন ডেলিভারী দিয়ে থাকি।
পুজা যত ঘনিয়ে আসছে শ্রীমঙ্গলের মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে। শ্রীমঙ্গলে যে কয়টি জায়গায় মূর্তি বানানোর কাজ চলছে তার মধ্যে সাগরদিঘীর পাড় এলাকার অরবিন্দ পাল এর মূর্তির খ্যাতি ও পরিচিতি দুটোই সবার মুখে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সবকয়টি মূর্তি তৈরির স্থানগুলোতে ৩,৪ জন করে সহকারী লাগিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে মূর্তি তৈরির কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। সেই সাথে সমান তালে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকিরা ও ডেকোরেটার্স কর্মীরা। ঢাকিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাক মেরামতের কাজ নিয়ে আর মন্দিরের সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত ডেকোরেটার্স কর্মীরা।