আগামী দশ বছরের মধ্যে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর হার ২৫% কমিয়ে আনা সম্ভব হবে
বিশ্ব হার্ট দিবসের মাধ্যমে নিশ্চিত করা উচিত সারা বিশ্বে মানুষ যে পরিবেশে জীবন যাপন করুক, যে কাজেই করুক, তার জীবনাচরন যেন নিজের এবং আশেপাশের সকলের জন্য হার্ট বান্ধব ও হৃদরোগের ঝুুঁকিমুক্ত হয়। তাই আগামী দশ বছরের মধ্যে হৃদরোগে জনিত অকাল মৃত্যুর হার শতকরা ২৫ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
গতকাল বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেট আয়োজিত পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ ফাউন্ডেশনের হাসপাতালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ চিকিৎসক ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ রকিব এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের পরিবর্তে প্রত্যেকেরই বেশী করে ফলমূল ও শাকসব্জি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। তিনি বলেন হৃদরোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেকের চারপাশে হার্ট বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের পাবলিসিটি সেক্রেটারী আবু তালেব মুরাদের পরিচালনায় এবং মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এর কোরআন তেলাওয়াতে বিশ্ব হার্ট দিবসের অনুষ্ঠানে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল সবস্থানে সবার জন্য হার্ট বান্ধব পরিবেশ গড়–ন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব হার্ট দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব ছোবহানী চৌধুরী এবং হৃদরোগ এর কারন এর প্রতিকার তুলে ধরে আলোকপাত ও উপস্থিত দর্শক সারি থেকে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন সহ-সভাপতি প্রফেসর এম এ আহবাব এবং হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. অজয় কুমার দত্ত।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আফম কামাল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার জামিল আহমদ চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন সেক্রেটারী এসআই আজাদ আলী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো: ফজলুল হোসেন মীনা, সাংবাদিক আব্দুল মালিক জাকা, সহকারী পরিচালক ডা. রুকনুল আজিজ চৌধুরী, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুল জলীল আহমদ, সাংবাদিক কলামিষ্ট মো: ছমর উদ্দিন মানিক, মুক্তিযোদ্ধা রোটারিয়ান মো: আব্দুস সাত্তার, সিলেট প্রেস কাবের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতাউর রহমান এবং ফরহাদ আহমদ প্রমুখ।