মিনায় ভিড়ের চাপে সিলেট নগরীর দুই মহিলা নিহত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সৌদি আরবের মিনার জামারায় গত বৃহস্পতিবার পাথর নিক্ষেপের সময় ভিড়ের চাপে সিলেট নগরীর সৈদানিবাগ সৈয়দ বাড়ির দুই মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন-আসমা বেগম ও সাহেদা বেগম।
এর আগে সুনামগঞ্জের জুলিয়া হুদার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তাদের পরিবার। এ নিয়ে সিলেট অঞ্চলের তিন মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
সৌদি আরবে হজব্রত পালনের জন্যে অবস্থানরত বড় ভাই ও ভাতিজার বরাত দিয়ে নিহতদের স্বজন সৈয়দ ফজিলত হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাদের পরিবারের ৫ সদস্য এবার হজ্বে যান। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট ত্যাগ করেন তারা। হজ্ব যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন (সিরাজ) ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, সৈয়দ সাদেক হোসেন ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগম এবং তাদের ভাতিজা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জুবেল।
সৈয়দ ফজিলত হোসেন জানান, মিনায় জামারায় পাথর ছোড়ার সময় ৫জন এক সাথে ছিলেন। হঠাৎ হুড়োহুড়ি শুরু হলে আসমা বেগম ও সাহেদা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বড় ভাই সৈয়দ সাদেক হোসেনের বরাত দিয়ে সৈয়দ ফজিলত হোসেন আরো জানান, ৫জনই তখন আহত হন। মহিলা দুজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তবে পুরুষ সদস্যরাও আহত হয়ে পড়ায় তাদের আর সন্ধান পাননি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন ও সাদেক হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর জ্ঞান ফিরে তারা আসমা বেগম ও সাহেদা বেগমের খোঁজে নামেন। গত শনিবার একটি হাসপাতালে গিয়ে সাহেদা বেগমের লাশ সনাক্ত করেন। আর অনেক লাশ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় আসমা বেগমকে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে পরিবারের সদস্যরা অনেকটা নিশ্চিত আসমা বেগমও মারা গেছেন। দুজনের লাশ সৌদি আরবেই দাফন করা হবে।
সিলেটের আবাবিল এয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তারা হজ্ব পালনে গিয়েছিলেন বলে জানান ফজিলত।
৫ সদস্যের মধ্যে আহত সৈয়দ সাদেক হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সৌদি আরবের একটি হোটেলে অবস্থান করছেন। আর তার ভাই সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন ও ভাতিজা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জুবেল একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সৈয়দ ফজিলত হোসেন আরো জানান, শাখাওয়াত- আসমা দম্পতির ৩ মেয়ে ও এক ছেলে এবং সাদেক হোসেন দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। এখনো তাদের দেশে ফেরার তারিখ নির্ধারণ হয়নি বলে জানান সৈয়দ ফজিলত। সার্বিক বিষয়ে সৈয়দ সাদেক হোসেন ও ভাতিজা জুবেল পরিবারের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান তিনি।