গোলাম আযমের ছেলের আপত্তিতে পাল্টে গেল টেলিফিল্মের নাম!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ঈদ উপলক্ষ্যে ‘রেইনবো’ নামে একটি টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন নির্মাতা মাহমুদ দিদার। সপ্তাহখানেক আগে প্রমোও ছাড়েন ফেসবুকে। ঈদের চতুর্থদিন টেলিছবিটি প্রচারের খবর জানানো হয় মিডিয়ায়। কিন্তু রোববার সকালে নির্মাতা জানালেন ‘রেইনবো’ নামটি পরিবর্তন করা হয়েছে। টেলিছবিটি ‘ইটস মাই লাইফ’ নামে প্রচার হবে।
নাম পরিবর্তনের কারণ ‘রেইনবো’ শব্দটি সমকামিতার প্রতীক। এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে কৈফিয়ত শিরোনামে ফেসবুকে দেয়া নিজের বক্তব্যে নির্মাতা মাহমুদ দিদার লেখেন, ‘রেইনবো’তে তিনজন নারীর নিজস্ব জীবনযাপনের গল্প বলতে চেয়েছি। কিন্তু নামটা নাকি সমকামীদের সিম্বল। এখানে রেইনবো নামে বিরিয়ানীর দোকান, বাস সার্ভিস, ফিল্ম সংগঠন, কাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে মনোহরী কসমেটিক্সের নামও আছে। তাহলে কি ধরে নেবো এইসব জিনিসপত্র সমকাম করে বেড়ায়?’
তিনি আরো লেখেন, ‘গল্পে আমি এমন কিছু দেখাইনি যাতে সমাজ স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বিচ্যুত হতে পারে। কিন্তু গল্পের পুরোটা না জেনেই অনেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। গোলাম আযমের ছেলে নাকি তার ফেসবুক পেজে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে। সেখানে তিনি ৭১ টেলিভিশনে প্রচারিত একটা শুটিং স্পট রিপোর্ট এর লিঙ্ক শেয়ার করে দেখিয়েছেন। তাতে তার প্রেতাত্মা অনুসারী, নব্য রাজাকাররা এটা নিয়ে প্রচুর প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। আরো একবার নিশ্চিত হলাম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মধ্যে যে জঙ্গী প্রতিক্রিয়াশীলতা তার মূল হচ্ছে মৌলবাদী জামাতী গোষ্ঠি।’
সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর গোয়েন্দা সংস্থাও ‘রেইনবো’র উপর নজরদারী চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘তারা গল্পের ‘রেইনবো’ নামটা ইরেজ করে দিতে চায়। এই নামে কোনোও ফিকশন অন এয়ার হলে রাষ্ট্রে তুমুল অশান্তি তৈরী হবে। তাহলে ঘটনা কি দাড়ালো? তার সারমর্ম এই যে , ‘জামাতীদের দাবির সপক্ষে গিয়ে তারা স্ট্যান্ড নিয়েছে। প্রতিক্রিয়াশীল, খুনবাদী গোষ্ঠি যদি এভাবে রাষ্ট্রের প্রশ্রয় পেতে থাকে তার পরিণতি নিশ্চিতভাবেই ভালো হবেনা একসময়। মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান হিসেবে আমি এই পুরো প্রক্রিয়াটাকে প্রত্যাখ্যান করছি।’
এ প্রসঙ্গে মাহমুদ দিদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি যা বলার ফেসবুকে বলেছি। বিষয়টি দুঃখজনক। আমি আপত্তি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে নাটকপাড়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। টেলিফিল্মটি সোমবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচার হবে। নাটকটির মুখ্য তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন : প্রভা, স্বাগতা ও রিচি সোলায়মান।