শাবি ক্যাম্পাসেও অবৈধ পশুর হাট!

SUST Campas Animal Marketসুরমা টাইমস ডেস্কঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ই ও সি ভবনের মাঝামাঝি জায়গায় রোববার বিকেল গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি গরু বাঁশের বেড়া দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। গরু বেঁধে রাখার এরকম একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমালোচনা মুখর হয়ে উঠেছেন। অনেকেই প্রশাসনের গড়িমসিকে দায়ী করে ক্যাম্পাসে কেন পশুর হাট এমন প্রশ্ন তোলেন।
গরুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা লোকজন বলেন – আসছে কুরবানি ঈদ উপলক্ষে পশুগুলো বিক্রি করার উদ্দেশ্যে এখানে আনা হয়েছে। তবে কারা এই হাট পরিচালনা করছে তা জানা যায় নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন – ‘আমরা এই ধরনের কোন হাটের অনুমোদন দেইনি, বিকেলে এই খবর জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওগুলো সরিয়ে দিয়েছি’।
বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে পশু এনে কারা বিক্রি করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আসলে গরুগুলো বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের, তারা হয়ত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করাচ্ছিলেন, তবে আমি ক্যাম্পাসে গিয়ে সব সরিয়ে দিয়েছি’। ক্যাম্পাসে এখন কোন হাট নেই ভবিষ্যতেও থাকবে না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর এ নোমান বলেন- ”অত্যন্ত দু:খজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় গরু-ছাগলের হাট বসিয়ে প্রশাসন ক্যাম্পাসের প্রতি তাদের উদাসীনতা প্রকাশ করেছে। যদি এখানে কোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য জড়িত থাকে তবে তা নিন্দনীয়।’
বায়োকেমেস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজির শিক্ষক মোস্তাফা কামাল মাসুদ এই ছবিতে মন্তব্যে লিখেছেন- ‘দেখার আরো অনেক বাকী আছে, এসব হবে দেখেই আমরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছি, এসব দেখলে শুধু চোখে পানি আসে! সাস্ট ক্যাম্পাসে গরুর বাজার! এক বিশাল গরুর বাজার! যাদের প্রশাসনের সাথে লবিং তাদের জন্য হাসিলে বিশাল ছাড়!!’
পলাশ চক্রবর্তী নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন ‘সব সম্ভবের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ…। বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ গরু কেনা বেচা করা হয়! ভালোই তো….!’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন – ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার আগেও আমরা গরুর হাট বসানোর অপতৎপরতা লক্ষ্য করেছি। প্রক্টরের অনুমতি ব্যাতিরেকে এই অপতৎপরতা নির্বিবাদে দুই তিন ধরে চলতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানিকর এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আমরা ক্ষুদ্ধ এবং এর যথোপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি’।