সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে পুলিশ কমিশনার’র কাছে বড়শালাবাসীর স্মারকলিপি
এয়ারর্পোট থানার বড়শালা এলাকার একজন চহ্নিতি অপরাধী ও একাধীক মামলার আসামীকে গ্রেফতারের দাবীতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেনে এলাকাবাসী। গতকাল দুপুরে এয়ারর্পোট থানার ছালেপুর গ্রামরে কাহির মিয়া ও বড়শালা গ্রামরে মো: পারভজে আহমদ এলাকাবাসীর পক্ষে এ স্মারকলিপি প্রদান করনে। জানা যায় ৩নং খাদমিনগর ইউপির এয়ারর্পোট থানার মঙলরিপার গ্রামরে আব্দুল রহমানের পুত্র লুৎফুর রহমান একজন চিহ্নিত চাদাবাজ ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় ৫টি ও কতোয়ালী থানায় ১টি মামলা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ অদৃষ্ট কারণে লুৎফুরকে গ্রেফতার না করায় সে এলাকায় একাধীক সন্ত্রাসী র্কমকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী তার এ ধরনের অপর্কমের প্রতিবাদ করলে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। গত ০৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে লুৎফুর বড়শালার হাজির মিয়ার পুত্র ব্যবসায়ী গণি মিয়ার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে। উক্ত টাকা না পেয়ে লুৎফুর রহমান গং দেশী অস্ত্র নিয়ে গনি মিয়ার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ি হামলা ও ধারালো অস্ত্রের কুপে গনি মিয়ার হাত, পা ও শরীরে মারাত্মক জখম হয়। এ সময় আহত গনি মিয়ার কাছ থেকে হামলাকারীরা নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন সেট নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী মূর্হুষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে র্ভতি করান। র্বতমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর তাহির মিয়া বাদী হয়ে লুৎফুর রহমান, নাজমুল ইসলাম, আলম, ফরিদ উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম, জমির, আল-আমিন, ও শাহ আলম সহ ৯ জনের নাম উল্লখে করে এয়ারর্পোট থানায় একটি মামলা দায়রে করনে। তাহার মামলা নং-৮, তারিখ ০৭/০৯/২০১৫ইং। এ ঘটনার পর পুলিশ শাহ আলম নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলেও মূল আসামী লুৎফুর রহমান রয়েগেছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এদিকে লুৎফুর রহমান মামলার বাদী ও স্বাক্ষীগণকে হুমকি ধমকী দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ কমিশনার স্মারকলিপি গ্রহণ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এয়ারর্পোট থানার ওসি কে নির্দেশ দিয়েছেন।