বালুচরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১০
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর বালুচর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই উপ-গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় । সংঘের্ষের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত আধ ঘণ্টা ব্যাপী সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু ও ছাত্রলীগের সায়েফ এ দু উপ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ নেতা হিরণ মাহমুদ নিপু ও সয়েফ দু’জনই টিলাগড়ের আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ-রঞ্জিত গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে । আহতদের মধ্যে ১০জন গুলিবিদ্ধ রয়েছে বলে জানাগেছে।
আহতরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী মুহিন, আরাফাত, মঈনুল তবে বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। রাত ১১ টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগের দু’ উপগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সময় ১৫-২০ জন আহতের ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানাগেছে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু ও ছাত্রলীগের সায়েফ দু’ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বালুচর এলাকায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মীদের উপর ছাত্রলীগের সায়েফ গ্রুপের কর্মীরা হামলা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বালুচর ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলে মানুষজন ছুটাছুটি করতে থাকে। পরে রাত ১১ টার দিকে শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শাহপরাণ থানা পুলিশ জানায়, টিলাগড় ছাত্রলীগের দুই উপ গ্রুপের নেতা কর্মীদের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু বলেন, এঘটনা সম্পর্কে আমি অবহিত নয়। কে বা কাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হোসাইন আহমদ চৌধুরী জানান, একই গ্রুপের দু উপগ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে এখনো অবগত হয়নি। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানাবো।