বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেটে জন্মাষ্টমী উদযাপন

dokkhin-surma-jonmastomyসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটে উৎসবমূখর পরিবেশে হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণেষর আর্বিভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলায় সনাতন ধর্মলম্বিরা আনন্দ শোভাযাত্রা বা নগরসংকীর্তন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়াও মন্দির, মিশন-আখড়ায় পূঁজা-অর্চনার পাশাপাশি চলে ভাগবত পাঠ ও শ্রী কৃষ্ণের কীর্তন। আলোচনাসভা, চিত্রাঙ্কণসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুগিটিলায় ইসকন মন্দিরে আলোচনা সভা : গতকাল দুপুর ১টায় পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ৫২৪১তম শুভ জন্মাষ্ঠমী উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইস্কন সিলেট আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নারী সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধরী।
আলোচনা সভায় কেয়া চৌধুরী বলেন, একজন সত্যিকারে ধার্মিক মানুষ কখনো কোন ধরনের খারাপ কাজকর্ম করতে পারে না। ধর্ম ও ধর্মের অনুশাসন মানুষকে সুন্দর ও সুশৃংখল রাখে। ধর্মীয় বিধিবিধান প্রত্যেক মানুষকে মেনে চলা দরকার। অনাচার, ব্যভীচার ও যত ধরনের পাপ, তা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়, তার কোনটাই করা উচিত নয়। সবাইকে ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এসব ঘৃনিত অপকর্ম করা থেকে বিরত থাকা জরুরী।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতি রক্ষা করার ধারাবাহিক কাজের মধ্যে যুব সমাজকে সবার আগে মানবতাবোধে জাগ্রত করা প্রয়োজন। সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও সম্প্রদায়ের যুবক সমাজের অন্তরে সু-শিক্ষা ও ধর্মীয় নীতি নৈতিকতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী করা বাঞ্ছনীয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ ইস্কন সিলেট’র অধ্যক্ষ শ্রীপাদ নবদ্বীপ দ্বিজ গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ইস্কন সিলেটের সাধারন সম্পাদক শ্রী ভাগবত করুনা দাস ব্রহ্মচারী, সহ-সাধারন সম্পাদক পান্ডব গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ এডভোকেট দীলিপ কুমার দাস চৌধুরী, ইস্কন সিলেটের ইয়থ ফোরামের কো-ডিরেক্টর দেবর্ষি শ্রীবাস দাস, বুদ্ধি গৌর দাস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক শ্রীমতি শিপ্রা দেব।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দেবামৃত নিতাই দাস। এর আগে সকাল ৯ টায় নগরসংকীর্তন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি নগরীরর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে ইস্কন মন্দিরে এসে সমাপ্ত হয়।
এছাড়া দুপুর ১২ টায় কৃষ্ণলীলা, সন্ধ্যা ৭টায় শ্রীশ্রী গৌরসুন্দরের আরতি, রাত ৮ টায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, রাত সাড়ে ১০ টায় শ্রী কৃষ্ণের মহা-অভিষেক অনুষ্ঠান ও রাত সাড়ে ১২ টায় অনুকল্প মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। আজ রোববার নন্দোৎসব ও ইস্কন প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের ১১৯তম শুভ আবির্ভাব তিথি উদ্যাপন করা হবে। অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে রয়েছে বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল এ.সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের অভিষেক অনুষ্ঠান, দুপুর সাড়ে ১২ টায় শ্রীল প্রভুপাদের মহিমা কীর্তন ও অফারিং লেটার পাঠ, দুপুর ২ টায় মহাপ্রসাদ বিতরণ, বিকাল ৪ টায় বৈদিক চলচ্চিত্র আচার্য ও রাত সাড়ে ৮ টায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতি কামনা করা হয়েছে।
শাবিতে জন্মাষ্টমী উদযাপন : শাবি প্রতিনিধি জানান, র‌্যালি, সমাবেশ ও প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে উদযাপিত হল ভগবান শ্রীকৃঞ্চের ৫২৪২ তম শুভ জন্মাষ্টমী। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় বিশ^বিদ্যালয়ের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের উদ্যেগে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভুঁইয়া। শোভাযাত্রাটি গোলচত্ত্বর থেকে শুরু করে সমস্থ ক্যা¤পাস প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রণথাগারের সামনে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ এর সভাপতি রানা প্রতাপ হীরার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, শবি প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী, ১ম ছাত্রী হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আমেনা পারভিন, বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হল প্রভোস্ট শরীফা ইয়াসমীন, সহকারী প্রক্টর সামিউল ইসলাম, জাহিদ হাসান, অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নারায়ন সাহা, অধ্যাপক শরদিন্দু ভট্টাচার্য, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায় প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম বলেন, শ্রীকৃষ্ণের আদর্শকে ধারন করে মানবকল্যানের পক্ষে ছাত্রসমাজকে কাজ করতে হবে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কবির হোসেন জানান, সকল ধর্মই পবিত্র। তাই যারা ধর্মভীরু তারা কোনো খারাপ কাজ করতে পারে না। যারা ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়েছেন তাদেরকের ধর্র্মকে ধারন করে বিশ^বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভুইয়া বলেন, বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক সরকার। পরস্পরকে আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যেমন শিক্ষককে শ্রদ্ধা করবে তেমনি শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের ¯েœহ করবে। শিক্ষকরা শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করবে। যেকোন সংকটে একত্রে কাজ করবে। কোন অবস্থাতেই কোনরুপ নৈরাজ্য চলবে না। বিশ^বিদ্যালয় তার নিজস্ব গতিতে চলবে। পাঠদান, গবেষণা চলবে। এগুলো শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব। শিক্ষকরা কোন অবস্থাতেই এসব থেকে বিরত থাকতে পারেন না। শাবিতে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সবাই যেন সচেষ্ট থাকে। শাবিতে মন্দির প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, শাবিতে মন্দির তৈরীর কাজ সিন্ডিকেটে পাশ করা হয়েছে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। জন্মাষ্টমীকে ঘিরে দিনব্যাপী উপবাস, অর্চনা ও কৃষ্ণ নাম কীর্তন, গীতাপাঠসহ বিভিন্ন আচার-উপচারের মাধ্যমে ধর্মীয় কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদ ভবনের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক হয়ে টিলাগড় সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পীযুশ কান্তি সরকার, রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল বাসেত, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) প্রফেসর ড. জীবন কৃষ্ণ সাহা, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মিটু চৌধুরীসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পরবর্তীতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ড. নির্মল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে “কৃষ্ণকথা” নামে একটি ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা শ্রীকৃষ্ণের জীবনচরিত ও মানবসমাজের উপর তাঁর উপদেশ নিয়ে আলোচনা করেন। পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে জন্মাষ্টমী উৎসবে শতশত ভক্তের সমাগম ঘটেছে। দিনব্যাপী পালা কীর্তন, ভাগবতপাঠ, কৃষ্ণপূজা, আরতি, প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে এবছর শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালিত হয়।
দক্ষিণ সুরমা : সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, সিলেট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। নানা ধর্মের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এখানে পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সৌহাদ্র্য বজায় রেখে নিজেদের ধর্ম পালন করে আসছে। এই সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সকল ধর্মের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। গতকাল শনিবার দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি মন্দিরে গোটাটিকর সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদয্পন পরিষদের উদ্যোগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
কামরান বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জীবণাদর্শ তাঁর দর্শন ও বাণী থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নিজেদের পরিচালিত করলে জীবনের অনেক সংকটেরই সমাধান হয়ে যাবে। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি শুভ্রংশু দে অপু এর সভাপতিত্বে ও উযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বিপ্লব কান্তি দে মাধব এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র এড. রোকসানা বেগম শাহনাজ, সংস্কৃতি কলেজের অধ্যক্ষ এড. ডদলিপ কুমার দাস চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আজম খান, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর আসমা বেগম, ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলেিগর সাধারণ সম্পাদক ছয়েফ খান, সিলেট জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শমসের সিরাজ সোহেল, রবিন্দ্র কুমার আষিশ, এড. এপিপি অরুণ চন্দ্র নাথ, এড. প্রতাপ চন্দ্র নাথ, প্রদীপ রায়, লিটন ভট্রাচার্য্য, লিটন পাল, মৃদ্যুল বড়–য়া, ঝন্টু ঘোষ,নিটু পাল, জনি দাস, সুসিত দে, বিশ্বজিত পাল, অমিত দও, সাগর দও, বিরেশ রায়, ময়না, কিশোর রায় পুরকায়স্থ, নান্টু দাস, সুধন্য দে, মনোরঞ্জন নম, হরি দাস পাল সাওন প্রমুখ আলোচনা সভার পর একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি মন্দিরের সামন থেকে শুরু করে কদমতলী পয়েন্ট হয়ে চাদঁনী ঘাট হয়ে ক্বীন ব্রীজ হয়ে পুনরায় মন্দিরে এসে শেষ হয়।
বিয়ানীবাজার জন্মাষ্ঠমী পালিত : আমাদের বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শ্রী কৃঞ্জের জন্মাষ্ঠমী পালিত হয়েছে। উৎসব উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে দাশগ্রামস্থ কালাচান মিলন মন্দির থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পন্ডিত পাড়াস্থ শ্রীবাস অঙ্গন হয়ে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রধক্ষিন করে সুপাতলাস্থ শ্রী শ্রী বাসুদেব অঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটির আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন। উদ্বোধন শেষে বক্তব্য রাখেন বাসুদেব সেবক সঙ্গের সভাপতি শিক্ষাবিদ বিরাজ কান্তি দেব ও শ্রীবাস অঙ্গনের অধ্যক্ষ সিদ্ধ গৌর দাস ব্রম্মচারী। পরে বাসুদে অঙ্গনে সমবেত গীতাপাঠ, ধর্মীয় আলোচনা, দিন ব্যাপী সাস্কৃতিক অনুষ্টান ও রাতে শ্রী কৃঞ্জের পূজা অনুষ্টিত হয়।
সুনামগঞ্জ : জগত প্রতিপালক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪২ তম শুভ আর্বিভাব তিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে এক বর্ণাঢ্য শুভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার যৌথ সহযোগিতায় শহরের শ্রী শ্রী কালবিাড়ি নাট মন্দিরের সামনে থেকে শুভাযাত্রাটি বের হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে কালী বাড়ি মন্দিরের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শুভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আইয়ূব বখত জগলুল, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ সুনামগহ্জ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট গৌরাঙ্গ পদ দাস,সাধারন সম্পাদক চন্দ্রন প্রসাদ রায়,মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দিলীপ কুমার মজুমদার, প্রবীন আইনজীবি এডভোকেট স্বপন কুমার দেব,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যোগেশ্বর দাস,সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বাবু বিমল বণিক, পৌর কাউন্সিলর আরতি তালুকদার কলি, নারীনেত্রী সঞ্চিতা চৌধুরী,কনক চক্রবর্তী,রমেন্দ্র কুমার দে,সুভাষ চন্দ্র রায়,মানব চৌধুরী, সুজিত দে, এডভোকেট রতন রায়, এডভোকেট সবিতা চক্রবর্তী, এডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, বিজিত চৌধুরী, নির্মল ভট্রাচার্য্য, অনুপ চক্রবর্তী, সুধাংশু পাল, বিমান রায়, এডভোকেট প্রনব কান্ত দাস, প্রদীপ পাল নিতাই, শিলা বসু,আরতি পাল প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা বলেন একটি অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের স্ব স্ব অবস্থানে থেকে নির্বিঘেœ ধর্মকর্ম পালন করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।