প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ : অনুমতি পেলেই ‘ধর্ষক’ পুলিশকে গ্রেপ্তার

rapedসুরমা টাইমস ডেস্কঃ কচুয়া উপজেলার এক গৃহবধূকে (১৯) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ১ সেপ্টেম্বর কনস্টেবল জাহিদের বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভুক্ত করে হাজীগঞ্জ পুলিশ।
এদিকে, ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের অনুমতি পেলে জাহিদকে আটক করা হবে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তরা। ইতোমধ্যে তাকে আটক করতে চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশ হেড কোয়ার্টারের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশ সুপার নির্দেশ দিলে থানা থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হবে।
গৃহবধূর পরিবারের লোকজন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুধাংশ শেখর হালদার জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী ইতালিতে থাকেন। ফেসবুকের মাধ্যমে রাঙামাটিতে পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত হাজীগঞ্জ টোরাগর এলাকার জাহিদ হোসেন সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
গত ২৬ জুলাই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি কচুয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় রাস্তায় অপেক্ষমাণ কনস্টেবল জাহিদ একটি মাইক্রোবাসে করে ওই গৃহবধূকে রাঙামাটি নিয়ে যান। রাঙামাটি জেলা পুলিশ লাইনের পাশে একটি চারতলা বাড়ির নিচতলায় গৃহবধূকে তোলেন জাহিদ। সেখানে প্রায় একমাস আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন জাহিদ।
ঘটনার পর থেকে অনেক জায়গায় খোজাখুঁজি করেও ওই গৃহবধূর আত্মীয়-স্বজনরা তাকে খুঁজে পায়নি। অবশেষে তার আত্মীয়-স্বজন পুলিশের সহায়তায় ২৩ আগস্ট রাঙামাটি থেকে তাকে উদ্ধার করে।
পরে এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ওই গৃহবধূর বাবা একটি লিখিত এজাহার দেন। আদালত সেটিকে আমলে নিয়ে মামলাটি নথিভূক্ত করতে হাজীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন। পরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই মামলা নেয়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। কনস্টেবল জাহিদকে আটক করতে ইতোমধ্যে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। আদেশ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।