খালেদার সঙ্গে কীসের ঐক্য?
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম বলেছেন, তিনি (খালেদা) ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তার সঙ্গে কীসের ঐক্য? তিনি পুলিশ, বিজিবি, শিক্ষক, শিশু, নারীসহ সাধারণ মানুষ খুন করেছেন। খুনি ও জঙ্গি খালেদার সঙ্গে কোনো সংলাপ বা ঐক্য নয়।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোহম্মদ নাসিম বলেন, যাদের হাত রক্তে রঞ্জিত তাদের সঙ্গে কীসের ঐক্য। আর যাই হোক তাদের সঙ্গে কোনো ঐক্য হতে পারে না। খুনি ও জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো বন্ধুত্ব নয়। ঐক্য হবে জনগণ ও শিক্ষকদের সঙ্গে। খালেদা জিয়াকে জামায়াত, খুনি ও জঙ্গিদের ছাড়তে হবে। তিনি ১৫ আগস্ট কেক কাটা বন্ধ করলে সেদিন ভাবা যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, ২১ আগস্ট খালেদা জিয়ার আমলে শেখ হাসিনাকে মারার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। ওই হামলার কোনো তদন্ত হয়নি। জজ মিয়ার নাটক সাজানো হয়েছে। খালেদা জিয়া জঙ্গি সৃষ্টি করে দেশব্যাপী বোমা হামলা করেছে। খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে। তাই তাদের সঙ্গে কোনো ঐক্য বা সংলাপ হতে পারে না।
তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশেই জাতির জনকের প্রতি সবাই শ্রদ্ধা জানান। আমেরিকা ও রাশিয়া মহানায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। কিন্তু আমরা কী দুর্ভাগা জাতি, আমাদের এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান না। কোনো প্রতিবেশী মারা গেলেও সেই দিন সবাই শোক দিবস পালন করেন। আর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। কেক কাটেন। কেক কাটে বাচ্চারা। আর উনি বুড়া বয়সে মিথ্যা জন্মদিনে জাতীয় শোক দিবসে কেক কাটেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের উদ্দেশে নাসিম বলেন, পুলিশ, বিজিবি, সেনাদের জন্য হাসপাতাল আছে। আমি ভেবে দেখবো শিক্ষকদের জন্য একটি হাসপাতাল করা যায় কি না। শেখ হাসিনাই একমাত্র শিক্ষকদের বন্ধু। তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে আছেন, থাকবেন। তাই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দ্রিরা, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, সংগঠনের মহাসচিব সালেহা আক্তার, বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।