বঙ্গবন্ধুর খুনী চক্র আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে
—নবীগঞ্জে আওয়ামীলীগের শোক সভায় ডাঃ মুশফিক চৌধুরী
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু বঙ্গবন্ধুর খুনী চক্র আবারো সক্রিয় হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে ৷ আগুন সন্ত্রাস মেডাম খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে জ্বালাও পড়াও করে মানুষ খুন করছে ৷ তিনি বলেন, আগষ্টের শোককে শক্তিতে পরিনত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে ৷ তিনি গত ৩১ আগষ্ট সোমবার বিকাল ৩ টায় নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত নবীগঞ্জ নতুন বাজার মোড় আব্দুল মতীন স্কয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০ তম শাহদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে উপরোক্ত কথা বলেন ৷ বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শাহনেয়াজ মিলাদ গাজী, জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল মোছাব্বির ৷ নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুর রহমান মকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, কাজী ওবাদুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার পাল রবি , প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদির, দপ্তর সম্পাদক বিধান ধর, সহ প্রচার সম্পাদক গৌতম দাশ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুর রহমান স্বপন, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক সাবের আহমদ চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা সুজাত চৌধুরী, শৈলেন্দ্র কুমার দাশ, আব্দুর নুর, ফজলুল করিম, শেখ আব্দুল হাকিম,শেখ তারা মিয়া,মিরাজ আলী, ওহি চৌধুরী, ইমান আলী,আমিনুর রহমান নোমান, আব্দুল মুকিত, হাফিজুর রহমান, মিন্টু চৌধুরী, প্রনব দেব, দেওয়ান মোস্তাক আহমদ, আব্দুল হামিদ,আফরোজ চৌধুরী, কৃষকলীগ সভাপতি শেখ শাহনুর আলম ছানু,সম্পাদক বিকাশ রায়, কৃষকলীগ নেতা ইকবাল বাহার তালুকদার, ফারুক মিয়া, মহাদেব রায়, গৌর মনি সরকার, আফজল মিয়া, শ্রমিকলীগ সম্পাদক আনসার তালুকদার, সহ সভাপতি দিলশাদ মিয়া, আলী হাসান লিটন,যুবলীগ নেতা শামিম চৌধুরী, বদরুজ্জামান চৌধুরী স্বাধীন, অনু আহমদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক আমিনুর রহমান চৌধুরী সুমন,যুগ্ম আহবায়ক উজ্জ্বল সরদার, ইকবাল আহমদ বেলাল, ছাত্রলীগ নেতা আবু সালেহ জীবন, আলী হোসেন দেলোয়ার, মাহবুবুর রহমান রাজু, মহিনুর রহমান ওহী, সাইদুর রহমান, আষ্টব মিয়া, দ্বীন মোঃ ইমরান, তরুন লীগ আহবায়ক পারভেজ আহমদ রাজ, যুগ্ম আহবায়ক হক আহমদ আব্দুল হাই, ভীষন রায় প্রমূখ ৷ শোক সভার শুরুতে দাড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতায় শহীদানের আতœার মাগফরাত কামনা করা হয় ৷ কোরআন তেলাওয়াত করেন, ওলামালীগ নেতা আইয়ূব আলী, গীতা পাঠ করেন, ভূবিরবাক ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ডাঃ অমলেন্দু সূত্রধর ৷
নবীগঞ্জের যৌতুকের জন্য ঘুমন্ত গৃহবধুকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় পাষন্ড স্বামী নানু পুলিশের কাচায় বন্দি
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জের পলীতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা যৌতুকের জন্য ঘুমন্ত অবস্থায় গৃহবধু রোমানাকে তার বাবার বাড়িতে পাষন্ড স্বামী কর্তৃক গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনার নায়ক পাষন্ড স্বামী নানু মিয়া (৩৫) কে গত সোমবার রাতে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে চিরুনী অভিযান চালিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শেরপুর বাস ষ্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। তাকে গ্রেফতারের খবর জানার পর রোমানার পরিবারে স্বস্থি ফিরে পেয়েছে।
সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ছিট ফরিদ পুর গ্রামে আব্দুর রহিমের কন্যা রোমানা বেগম (২৩) প্রায় দুই বছর পুর্বে ভালবেসে বিয়ে করে বালাগঞ্জ উপজেলার কালনীরচর গ্রামের ছালিক মিয়ার ছেলে নানু মিয়াকে। বর্তমানে নানু মিয়া তার পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে ওসমানী নগর থানার উত্তর সোনামপুর গ্রামে বসবাস করে আসছে। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী ও শশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের জন্য রোমানাকে বিভিন্ন ভাবে শারিরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে কিছুদিন পূর্বে তার বাবার বাড়ি এসে আশ্রয় নেয়।
এতে ও রক্ষা পায়নি রোমানা তার সুচুতুর স্বামী গ্রামের সহজ সরলমনা মেয়ে রোমানার বাড়ীতে গত ২৬ আগষ্ট ২০১৫ইং বুধবার রাতে তার পাষন্ড স্বামী নানু মিয়া বেড়াতে আসে। এক পর্যায়ে তাকে ফুসলিয়ে আর এ রখম কাজ করবে না বলে তার সাথে কথা বলে। এতে রোমানা তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে তাকে বাড়ীতে থাকার জায়গা দেয়। রাত যখন গভীর হয় তখন পাষন্ড স্বামী রোমানাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় রোমানার চিৎকারের পরিবারের লোকজন জেগে উঠে দেখেন মুহুর্তের মধ্যেই পেট্রোল ঢেলে লাগানো আগুনে তার সাড়া শরীর পুড়ে ভষ্মীভূত হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক ভাবে গৃহবধুকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার অবস্থার অবনতি হলে মুমুর্ষ অবস্থায় পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সেখানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আগুনে ভষ্মিভূত রোমানার এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতের পিতা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তাৎক্ষনিভাবে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় রোমানার শ্বাশুড়ি মায়া বেগমকে বালাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। কিন্তু পাষন্ড স্বামী রয়ে যায় পলাতক পুলিশ হন্য হয়ে তাকে গ্রেফতার করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত গৌর চন্দ্র মজুমদার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আবুল খায়েরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার সীমান্ত শেরপুর বাস ষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারা করতে সক্ষম হয়।