দিল্লীর বি.এল.কে. সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এখন সিলেট
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ বি.এল.কে. সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এখন বাংলাদেশের সিলেট নগরীতে। এই হাসপাতাল মানুষের শারীরিক রোগের চিকিত্সার জন্য স্থাপিত হয়েছে। প্রধানত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নতুন দিল্লীতে অবস্থিত। এটি ২৯শে আগষ্ট সিলেটে নেফরোলজি আর মহিলাদের শারীরিক চিকিত্সার বিভাগ শুরু করেছে। আর এ জন্যেই সিলেটের স্থানীয় হোটেল নির্ভানা ইন-এ প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।এ সময় বলা হয়-এই বিভাগ দুটি শুরু করেছে যাতে রোগে আক্রান্ত গরীব মানুষগুলির বিণামুল্যে চিকিত্সা হতে পারে। এর বিশেষ বিভাগগুলি হলো – নেফরোলজি, মেয়েদের শারীরিক প্রয়োজনীয়তা, মেয়েদের গর্ভ সংক্রান্ত অসুস্থতা ইত্যাদি। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাইরের রুগীদেরও বিণামুল্যে চিকিত্সার সুযোগ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১০-এর মধ্যে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগিদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এই ধরণের মানুষেরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। ঘঈইও নামক একটি সংস্থা বলেছে যে এই রোগ বাংলাদেশের গ্রামের মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।বি.এল.কে. স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একজন বয়স্ক ডাক্তার ড. সুনীল প্রকাশ বলেছেন যে বাংলাদেশের এই গরীব মানুষগুলির চিকিত্সা অন্য সব বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দ্বারা করানো হবে। এইসব চিকিত্সা বিণামুল্যে করানো হবে। প্রেসার, ডায়াবেটিস, চিন্তা, ধুমপান, ইত্যাদির বিশেষ খেয়াল রাখা হবে যাতে এইসব মানুষগুলিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচানো যায়। ড. প্রকাশ এও বলেছেন যে শুধুমাত্র রোগীদের সারিয়ে তোলাই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান বিষয় নয়, এই সঙ্গে এও দেখবে যাতে দুটি গ্রামের মধ্যে আত্মীয়তা বজায় থাকে। এইসব চিকিত্সা করবেন ড. সুনীল প্রকাশ নিজে আর ড. সোমা সিং। এই সংস্থার সর্বপ্রথম ঙচউ সেইসব মানুষদের জন্য হবে যাদের চিকিত্সা বিশেষ প্রয়োজন।দেখা গেছে যে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যেমন ৪ শতাংশ ছিল ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত। ৫ শতাংশ হয়েছে ২০০১-এ আর ৯ শতাংশ ২০০৬ থেকে ২০১০-এর মধ্যে। ইন্ট্যারন্যাশানাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন নামক একটি সংস্থা প্রমাণ করেছে যে ডায়াবেটিস হলো হৃদরোগের প্রধান কারণ। আবার দেখা গেছে যে অতিরিক্ত চিন্তাও হৃদরোগের কারণ। দেখা গেছে যে অতিরিক্ত মশলা দিয়ে খাবার মেয়েদের গর্ভের ক্ষতি করে থাকে। এই ঙচউ মেয়েদেরও চিকিত্সার সুযোগ করে দিয়েছে, বলেছেন ড. সোমা সিং, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
বি.এল.কে. সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালএটি প্রাইভেট স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থাগুলি হলো – এখানে ৬৫০টি বেড আর ১২৫টি প্রয়োজনীয় রোগীদের জন্য ব্যবস্থা আছে। এখানে ৫৭টি রোগী দেখার ঘর আছে। এই সংস্থার অ্যাম্বুলেন্স, অপরেশান থিয়েটারগুলি খুবই আধুনিক। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিজস্ব ব্লাডব্যাঙ্কও রয়েছে।এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি সর্বশ্রেষ্ট, আধুনিক এবং গরীব মানুষের চিকিত্সা ব্যবস্থার জন্য সাফল্য লাভ করেছে।