কবিতাগুলি মোর…… নোমান মাহফুজ

লেখালেখির অঙ্গনে প্রবেশ করছি কবিতা ছড়া লেখার মাধ্যমে,মাঝে মধ্যে বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ নিবন্ধ রচনা করি।ছন্দের তালে মনের ভাব প্রকাশ করতে ভাল লাগে তাই, কবিতা ছড়া লিখি।সাহিত্যাঙ্গনে কবিতা ছড়া আমায় পথ চলতে শিখিয়েছে,তাই সর্বদা মনের আবেগে,ছন্দে ছন্দে,কাব্য ছড়ায় প্রকাশ করি মনের সুখ দুঃখ ব্যথা বেদনা আর হাসি খুশির কথা।দু হাজার আট সনে কাব্যের ভুবনে পা রেখেছি।আজ অবধি লিখে যাচ্ছি,টার্গেট আশা স্বপ্ন,প্রতিষ্টিত কবিদের মতো হবো।দু শতকেরও বেশী কবিতা ছড়া হয়েছে রচনা।তাই কবিতার প্রেমে লিখতে বসেছি বক্ষমান প্রবন্ধ।লেখার বেলায় অনেকটা হোঁচট খেয়েছি,কারণ আমি তো আর প্রাবন্ধিক বা কথা সাহিত্যিক নয়।কবিতার প্রেমে এ লেখাটি তৈরীর একমাত্র উদ্দেশ্য লেখালেখির অঙ্গনে গাফলতের চাদর মুড়ি দিয়ে যারা বসে আছে,তাদের প্রতিভাকে সজাগ করা,ঘুমন্ত প্রতিভাকে ভালবাসার দৃষ্টিতে নাড়া। আমার প্রতিভার সাথে তাদের প্রতিভার বন্ধন গড়ে তুলা।আমার কবিতার মিছিলে তাদের কবিতাগুলিকে শামিল করা।কবিতার প্রেমে আমি মজনু,কবিতা আমার লাইলী।আমি কবিতাকে ভালবাসি বলে এক শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে চাকুরী হারাতে হয়েছে। অনেকে বিবেকহীনের মতো কত কথা বলেছেন। অনেকে বকাঝকা করছেন.কেউ তো হাসি ঠাট্রা,তারপরও কবিতা প্রেমকে “না” বলিনি।আসুক যতো বাধা বিপত্তি,কবিতার প্রেমে অবিরাম সাঁতার কাটবো।
কবিতাগুলি মোর মনের ভাব,দেশের প্রতি অগাধ ভালবাসা.বন্ধু বান্ধবের প্রতি অকৃতিম ভালবাসা,মা বাবার প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন,লেখালেখির অঙ্গনে নবীন সাহিত্য সুজনদের প্রতি স্বপ্ন আশা ভালবাসার হাতছানী,অপরাধ দুর্নীতি প্রভৃতির বিরুদ্ধে কলমি যুদ্ধ.সত্য ও মানবতার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা,আল্লাহ ও রাসুল সা. এর প্রতি ভালবাসা.ইহজগতে সুখ শান্তি কামনা,আর পর জগতে জান্নাত পাওয়ার আশা আকাঙ্খা,কবিতাগুলি মোর এই জগতে সাম্যের জয়গান।
কবিতা,তুমিতো আমার প্রেম প্রেয়সী,তোমায় যে আমি ভালবাসি। কবিতা,তখন আমায় বলে,হে প্রেমিক!যতো চাও চুমু দাও,চুমুতে চুমুতে ভূবন মাঝে আলো ছড়াও। বেলা অবেলায় কবিতাগুলি মোর…..
হাতছানী দিয়ে ডাকে আর বলে,বন্ধু তোর একটু আদর সোহাগ চাই,তোর আদরে আমি বিশ্ব মাঝে হতে চাই মহান কাব্য।
কবিতাগুলি মোর আনন্দে নেচে হারায় পত্র পত্রিকার পাতায়,সম্পাদকের টেবিলে,ছাপার হালখাতায়,প্রেসে,মুদ্রিত বইয়ে পাঠকের হাতে,আবৃত্তির মঞ্চে আবৃত্তিকারের বুলি আর বিচারকের বিচারের বাণী।
কবিতাগুলি মোর…..পড়ে কেউ হাসে,কেউ কাঁদে।কেউ আবৃত্তি করে কবির ভঙ্গিমায়।কেউ নিয়ে যায় সুরের আঙ্গীনায়।কবিতাগুলি মোর..শিল্পীর পরশে হয়ে যায় সুরের রাণী,গুনীজনের মুখে মহামূল্যবান বাণী,রাজনীতিবীদদের জ্বালাময়ী ভাষণের প্রারম্ভ আর শেষ।গানের শিল্পীর সুরের ছন্দ।ভাললাগা মানুষের কাছে ভালবাসার গন্ধ,মোবাইলের ম্যাসেজ বার্তা।প্রেমিক প্রেমিকার মনের কথা।
কবিতাগুলি মোর প্রাণ,তাই লিখে যাই অবিরাম।ইচ্ছা স্বপ্ন হতে চাই সফলকাম।রাতের মায়াবীনি সময়টা কবিতার পাঠশালায় ক্লাস করি। কাব্য ছন্দ আর শব্দের মিছিলে হারিয়ে যাই কবিতার প্রেমে।কবিতার প্রেমে মেতে উঠি গল্পে,হঠাৎ ঘড়ির ঠিক ঠিক শব্দ,চেয়ে দেখি রাত ২/৩টা,এভাবে প্রতিদিন কাটে।কবিতার পাঠশালা থেকে ছুটি নিয়ে আসি।এসে দেখি ঘুমের ঘরের বিছানাটা চেচামেচি করছে,বিছানাটা আমাকে দেখার পর বলে,এই যে কবি সাহেব,এতো রাত কোথায় ছিলেন? কবিতাগুলি মোর সবার কাছে হীরে মানিক,কাব্যের ভুবনে নান্দনিক।কবিতাগুলি মোর সন্তান,জন্মদাতা আমি.বাংলা তাদের মা.বাংলাদেশ জন্মভূমি।মানুষজন যখন কবি বলে সম্বোধন করে.আমার কিন্তু খুব লজ্জা লাগে।কবিতা তখন আমায় শুধরায় রাগে অনুরাগে।কে বলেছে তুই কবি?তুই তো আমার প্রেমিক,আমি তো তোর প্রেমে আতœহারা.তাইতো তোকে দিয়েছি ধরা।কবিতাগুলি মোর চুরের হাতে পড়েছে ধরা,তাই যখন তখন চুরি হয়ে যায়,চুররা কবিতার ছন্দগুলির সাথে যোগ বিয়োগের খেলা করে স্বরচিত কাব্য বানিয়ে ফেলে অথচ চুররা জাতির কান্ডারী!জাতি জানেনা কান্ডারীদের অপকর্ম।চুরদের আশা আকাঙ্খা স্বপ্ন কবি ছড়াকার হবে।অন্যের লেখা চুরি করে বুঝি কবি ছড়াকার হওয়ার উত্তম পন্থা। লেখনীর জগতে চোর উপাধী লাভ করে এই জগৎটাকে কলংকিত করা হচ্ছে কেন?অগ্রজদের চোখে ওদের অপকর্ম কি ধরা পড়ে না।কবিতাগুলী মোর নবীন কবি ছড়াকারদের চিৎকার করে বলে,হে কান্ডারী!নিজগুনে হও তুমি মহামানব।প্রভু তোমাকে যে প্রতিভা দান করেছেন তা কাজে লাগাও।নিজ প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পাঠ করো প্রচুর.প্রবীণদের দারস্থ হও।পাঠ চর্চা অবিরাম করো.প্রতিষ্টিত কবি ছড়াকারদের গ্রন্থগুলো পাঠ করো.প্রতিভাকে বিকশিত করো।আলো ছড়াও ভুবন জুড়ে।আর কলমকে করো শানিত।