বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে পানিবন্দি চার ইউনিয়ন
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি: পাহাড়ি উজানের ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে ভেঙ্গে গিয়ে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে চারইউনিয়ন। বেশ কয়েকটি ডাইক ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়ছে বিয়ানীবাজারের একাধিক গ্রামে। বুধবার রাতে হঠাৎ করে ডাইক ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নদী সংলগ্ন স্থানীয় কয়েকটি বাজারও ডুবে গেছে এ পানিতে। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি বিপথ সীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুশিয়ারা নদীর ডাইক (বাঁধ) ভেঙ্গে বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ডুবে গেছে দুবাগ স্কুল এ- কলেজ, দুবাগা সরকারি প্রাথমক বিদ্যালয়, কাকরদিয়া তেরাদল উচ্চ বিদ্যালয়, তেরাদল-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুবাগ বাজার, বৈরাগীবাজার সহ উপজেলা চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও মুড়িয়া ইউনিয়নের শতাধিক বাড়ি। বিয়ানীবাজার-সিলেট অভ্যন্তরিন সড়ক, শেওলা শুল্ক স্টেশনের রাস্তাসহ প্রধান ও গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে দক্ষিণ দুবাগের সেতু মালাকারের বসতঘর। কয়েকজন প্রতিবেশী নিয়ে নদীর পানি প্রতিরোধ করতে বাঁশ, টিন, বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে চেষ্টা করছেন রক্ষা করতে। সেতু মালাকার বলেন, ভোরে দেখি ঘরবর্তী পানি। বাইরেও পানি ঢোকার শাঁ শাাঁ শব্দ। তিনি বলেন, বেঁচে থাকার জন্য পানির স্রোতের সাথে লড়াই করতে হবে, না হলে বউ বাচ্চাদের নিয়ে বিপদে পড়ে যাবো।
দুবাগ বাজার রাতের আঁধারে তলিয়ে যাওয়া মুদি ব্যবসায়ি মোস্তাক আহমদ জানান তাঁর দোকানে কয়েক লাখ টাকার চিনি, চাল, পেয়াজ ও ডাল নষ্ট হয়ে গেছে। মোস্তাক বলেন, কয়েক বস্তা চিনি একটু পাইনি। হাটু পানি থেকে ডাল, চাল, পেঁয়াজ বের করে শুকাতে দিয়েছি। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিকাল পর্যন্ত বন্যার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র খোলার দরকার হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে।