লতিফের এমপি পদ বাতিলে ইসির এখতিয়ার বৈধ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ বাতিলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এখতিয়ার বৈধ বলে রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কমুার সিনাহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ লতিফ সিদ্দিকীর আবেদন শুনে ‘নো অর্ডার’ দেয়।
ফলে এ বিষয়ে লতিফের রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে এবং আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ইসির শুনানিতে যেতে হবে।
আপিল বিভাগের আদেশের পর লতিফের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছিলাম। আপিল বিভাগ তাতে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে। আমরা এখন নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছি।’
আজই ইসিতে এই বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারিত রয়েছে। সেখানে সকাল ১১টা থেকে শুনানি হবে, যার প্রস্তুতি দেখা গেছে।
ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষের ওই শুনানিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসালমেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এতে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সে মোতাবেক বিরোধটি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া হাতে নেয় ইসি।
অন্যদিকে, লতিফ সিদ্দিকী তার সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকা না থাকা নিয়ে শুনানি করতে ইসির এখতিয়ার নেই এমন দাবি করে প্রথমে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট আদালত খারিজ করে দিলে তিনি চেম্বার জজ আদালতের শরণাপন্ন হন। চেম্বার জজ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে পাঠান, যেখানে আজ হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকল।
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ, মহানবী (সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত হন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় সরকার।
এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরো পরে তার প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করে আওয়ামী লীগ। আর সবশেষ তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।