জকিগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ
জকিগঞ্জ সংবাদদাতা: জকিগঞ্জের ইছামতি কামিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী ও উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের কলাকুটা গ্রামের সুমানা বেগম (ছদ্মনাম) সিএনজি চালক ও তার সঙ্গীদের হাতে ধর্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩ আগষ্ট সোমবার বেলা অনুমান ২টায় মাদ্রাসা থেকে নিজ বাড়ি কলাকুটায় ফেরার পথে একই গ্রামের সিএনজি চালক সোহেল আহমদ (২৫) ও হাকিম আহমদ মেয়েটিকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা হলে বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে রাত ১০টায় বারঠাকুরী ইউনিয়নের বিন্নাপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে মেয়েটি ধর্ষণের কথা পরিবারকে জানালে জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। ৩দিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান করছে সে।
সুমানা বেগম (ছদ্মনাম) জানায় গত ৩ আগষ্ট মাদ্রাসা ছুটির পর কালিগঞ্জ বাজারের পূর্বের সড়কে আরিফ নামে ছেলেটির সাথে গল্প করে বাড়ি ফিরছি। শায়লা স্মৃতি হাসপাতালের সামনে আসা মাত্র আমাকে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক সিএনজিতে উঠায় কলাকুটা গ্রামের লতা মিয়ার পুত্র সুহেল ও মন্নান আহমদের পুত্র হাকিম। তারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে আমাকে নির্যাতন করে সন্ধ্যায় হানিগ্রাম ব্রিজের কাছে ফেলে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় আরিফ সিএনজি নিয়ে আসে। পরে বিন্নাপাড়া গ্রামে আমার খালার বাড়িতে যাই। সেখান থেকে আমার পরিবার উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ধর্ষণ ঘটনার বিচার দাবি করে এ কিশোরী জানায় আমরা গরীব হওয়াতে ন্যায় বিচার পাবো না।
ধর্ষিত কিশোরীর চাচা শফিক আহমদ ও মামা আব্দুল করিম বলেন, ইছামতি কামিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী এ কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে আসামিরা। ওসিসি থেকে জকিগঞ্জ থানায় দরখাস্ত প্রেরণ করা হয়েছে। দারোগা একজন তদন্ত করে এসেছেন। মামলা রেকর্ড করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।
কিশোরীর রিকসা চালক বাবা ফয়জুল আহমদ দু:খ নিয়ে বলেন কেনো আমার মেয়েটিকে নির্যাতন করলো তারা। কি অপরাধ আমার মেয়েটির। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
থানার ও্সি মো: সফিকুর রহমান খান বলেন কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ওসিসি থেকে একটি দরখাস্ত আসার কথা স্বীকার করে বলেন মামলার বাদী ও ঘটনা জানা একজন স্বাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আবু নাসির বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।