জমি বিক্রির টাকা আত্মসাত করতে চার সহোদরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
পুলিশ কমিশনারের সহায়তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর টিলাগড়ের শাপলাবাগের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সম্পত্তি দখলে নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভুমিখেকো সিন্ডিকেটরা। রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রশাসনের প্রভাব খাটিয়ে তারা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সালামে সন্তানদের বিরুদ্ধে চাদাবাজি মামলা করেছে। অথচ স্থানীয়ভাবে সালিশ ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু ভুমিখেকো আসাদুজ্জামান ও ফয়সল এবং তাদের সহযোগিরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে থানায় মামলা করে জমি দখলের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের চার ছেলে। এ ব্যাপারে আইনী সহায়তা চেয়ে তারা গতকাল সিলেটের পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। এবং এই আবেদনে পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ ও ন্যায় বিচার কামনা করেছেন। শাপলাবাগের আব্দুস সালাম রুটের বেশিরভাগ সম্পত্তির মালিক মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের চার সন্তান সেলিম আহমদ, রোমান আহমদ, জাকির আহমদ ও আমির আহমদ। গতকাল চার ছেলের পক্ষে সেলিম আহমদের স্ত্রী রোকসানা আহমদ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, গত ১০ এপ্রিল আর্থিক বিশেষ প্রয়োজনে (দলিল নং ৬৫৪৯ মূলে) বাসা সংলগ্ন মালিকানাধীন ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভূমি ৮৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একই এলাকার জামায়াত নেতা ডা. রেদওয়ানুল করিম জাকারিয়ার কাছে বিক্রি করা হয়। বিক্রিকালে জমি বিক্রি বাবদ নগদ ৫৯ লাখ টাকা গ্রহন করা হয়। এ সময় তার মৌখিক কথার বিশ্বাসে বাকী টাকা পাওয়া হিসেবে রাখা হয়। এরপর জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। বাকি ২৫লাখ ৩৭ হাজার টাকা বিভিন্ন কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা পাওনা থাকে। কিন্তু ওই টাকা প্রদানে নানা টালবাহানা করে। পরবর্তী এ নিয়ে সালিশের ব্যবস্থা করলে ডা. জাকারিয়া পাওনা টাকা প্রদানের আশ্বাস দেন। প্রতিশ্রুতি দিলেও সে টাকা ফেরত দেয়নি। উল্টো স্থানীয় ভূমি খেকো চক্রের এবং আব্দুস সালামের সাবেক কেয়ারটেকারের ছেলে আসাদুজ্জামান ও এলাকার ভুমিখেকো চক্রের হোতা ফয়সল আহমদ আওয়ামী যুবলীগের রাজনৈতিক পদবী ব্যবহার করে পেশি শক্তির দাপট দেখাতে শুরু করে। তারা জামায়াত নেতা ডা. জাকারিয়ার পক্ষের হয়ে টাকা আত্মসাতের ফন্দিফিকির শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় তারা তিনজন মিলে আব্দুস সালামের চার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করে আদালতে দরখাস্ত মামলা নং ১৫১/১৫ দায়ের করে। পরবর্তীতে এ মামলাটি থাকায় পৌছা মাত্র কোনো তদন্ত না করেই শাহপরান থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড করে। মামলা নং-১৯, তারিখ ২৪, ০৭, ২০১৫ইং, ধারা ৩৮৫/৩৪ দন্ডবিধি। এদিকে, মামলা দায়েরের পর থেকে হয়রানী শুরু হয়েছে। একদিকে পুলিশ অন্যদিকে আসাদুজ্জামান ও ফয়সলের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, চাদাবাজি মামলা করায় স্থানীয় সালিশি ব্যক্তিরাও ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিতও দিয়েছেন। রোকশানা আহমদ জানিয়েছেন, মামলা দায়ের করার পর থেকে তাদের পরিবার পুরুষ শুণ্য হয়ে পড়েছে। মামলা দিয়ে জমি বিক্রির টাকা আত্মসাতের প্রক্রিয়া আমরা যেমন হতভম্ব। এলাকার লোকজন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। তিনি এ ব্যাপারে সিলেটের পুলিশ কমিশনারের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন।