মৌলভীবাজারে তিনভাইয়ের অত্যাচারে অতীষ্ট একটি পরিবার

আব্দুল হাকিম রাজ, মৌলভীভাজারঃ মৌলভীবাজারের রাখা গ্রামে তিনভাইয়ের মামলা, হামলা, অত্যাচারে অতীষ্ট একটি পরিবার। তিনভাইয়ের মিথ্যা ইস্যু, ওই পরিবার তাদের পুকুর ও পুকুর পাড় রকম ৭ শতক ভূমি জবরদখল করে রেখেছে। অপরদিকে নির্যাতিত পরিবারের দাবী, প্রপিতামহের আমল থেকে অর্ধ শতাধিক বছর যাবৎ সকল কাগজাত এবং শাসন, সংরক্ষণ ও ভোগ-ব্যবহারমূলে তারা ওই ভূমির মালিক। বিষয়টি নিয়ে বার বার স্থানীয়ভাবে সালিশে উক্ত ভূমিতে নির্যাতিত পরিবারের মালিকানা প্রমানীত হলেও তিনভাই গায়ের জোরে তাদের মিথ্যা দাবি প্রতিষ্ঠা করতে ওই পরিবারটিকে নানাভাবে অত্যাচার করে চলেছে। সরেজমিন এলাকায় ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে- মৌলভীবাজার জেলা সদরের কনকপুর ইউনিয়নস্থিত রাখা গ্রামের আহম্মদ খানের পুত্র কামাল খানের পরিবারের বসতবাড়িস্থিত বিনসনা মৌজার অন্তর্গত ১১৩নং জেএলভূক্ত ১৮০নং দাগে ০৭ শতক ও ১৯৩নং দাগে ০৯ শতক মিলিয়ে মোট ১৬ শতক ভূমির মধ্যে পুকুর ও পুকুর পাড় রকম ভূমির মালিকানা এবং কামাল খানের পরিবার তা জবরদখল করে রেখেছে দাবি করে পাশের বাড়ির বাসিন্দা ও নিকট প্রতিবেশি মৃতঃ উসমান খানের পুত্র শাহেদ খান, আহাদ খান ও ছয়ফুল খান দীর্ঘদিন যাবৎ কামাল খানের পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা দায়ের, তাদেরকে রাস্তাঘাটে চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি, তুচ্ছ যেকোন বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের বসতঘরে হামলা ইত্যাদি নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। কোন না কোন সমস্যা না থাকলে তিনভাই কেন এসব করছে, এ প্রশ্নের জবাবে কামাল খান ওই ভূমির সকল কাগজাত প্রদর্শন করে বলেন- এ প্রশ্ন তো আমাদেরও। আমরাও জানিনা কেন তারা এসব করছে। কোন সমস্যা যদি থেকেই থাকে তাহলে সেটা না বলে মিছেমিছি ভূমি নিয়ে এসব করবে কেন ? ভূমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বহুবার সালিশ হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় পঞ্চায়েতের সর্বশেষ সালিশেও ওই ভূমি আমাদের মৌরসী ভূমি হিসাবে প্রমানীত হয়েছে। কিন্তু, তিনভাইয়ের দাবি মিথ্যা প্রমানীত হয়েছে। তারপরও তিনভাই আমাদেরকে নানাভাবে অত্যাচার করছে। এরা আইন-কানুন, ন্যায়-নীতি, মেম্বার-চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত-গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাউকে মানেনা। কারও কথা শুনেনা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, মেম্বার জমশেদ খা, স্থানীয় ছনু খান, এতবার খান, মর্তুজা খান, আব্দুল মালিক মিয়া, আসিক মিয়া, দুদ মিয়া, জয়নাল খান প্রমুখ লোকজন স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ এলাকার লোকজন জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বহুবার সালিশ হয়েছে। নির্যাতিত পরিবার তাদের দাবি প্রমান করলেও, তিনভাই তাদের দাবি প্রমানে বার বার ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও তিনভাই মিলে ওই পরিবারটিকে নানাভাবে অত্যাচার করছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে তিনভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির মহিলারা প্রথমে উত্তেজিত আচরণ করলেও, পরে বিরোধ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলাপ করে জানান- ৩ ভাই বাড়িতে এলে যোগাযোগ করবেন। পরবর্তীতে তাদের পক্ষে যোগাযোগ করেন রিংকু চক্রবর্ত্তী জানান, পরদিন তিনভাই এসে বক্তব্য দেবেন। কিন্তু, এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তাদের স্ব পক্ষে কোন যুক্তি কিংবা বিরুধীয় বিষয় সম্পর্কে তিনভাই কোন বক্তব্য দেননি। এতেকরেই প্রতীয়মান হচ্ছে, মিথ্যা ইস্যুতে তিনভাইয়ের মামলা, হামলা, অত্যাচারে অতীষ্ট ওই পরিবারটি সামাজিক, মানসিক, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও বিপর্যস্থ হয়ে চলেছে। সর্বশেষ- নির্যাতিত পরিবারটি হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি মৌলভীবাজার জেলা শাখার স্মরণাপন্ন হয়েছে। এবং তাদের কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে।