ফিলিস্তিনে দেড় বছর বয়সী শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা

10.-palestineসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দখলে থাকা ফিলিস্তিনের পশ্চিত তীরে নাবলুস শহরের দক্ষিণে দুমা গ্রামে এক ফিলিস্তিনি পরিবারের ঘরে আগুন ধরিয়ে আলী সাদ দাওয়াবশেহ নামের দেড় বছর বয়সী শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে একদল অজ্ঞাত হামলাকারীরা।
আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আলী সাদ দাওয়াবশেহর পিতা-মাতাসহ তার চার বছরের ভাই। সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা বলছে, আগুনে তাদের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারা রাফিদিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে অগ্নিকান্ডের এমন বর্বরোচিত ঘটনার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেয়া বিবৃতিতে লে. কর্নেল পিটার লার্নার বলেন, বেসামরিক লোকদের ওপর এমন বর্বর হামলা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া আর কিছু নয়। ওই সকল সন্ত্রাসীদের শনাক্ত ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে ব্যাপক তদন্ত চলছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এমন দু:খজনক ঘটনার গভীর নিন্দা জানায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব তাদের ওপরই বর্তায়। এদিকে, এ ঘটনার পর পশ্চিম তীরে বাড়তি ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
অপরদিকে এ ঘটনার জন্য ইসরাইল সরকারকে দায়ী করছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তার মুখপাত্র বলেন, এ ঘৃন্য অপরাধের জন্য ইসরাইল সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। কারণ, ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরাইলি নাগরিকদের অবৈধ বসতি স্থাপনকে সমর্থন দিচ্ছে এবং অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলিদের সুরক্ষা দিচ্ছে।
দুমা গ্রামের কাছে কমপক্ষে ৩টি অবৈধ বসতি গড়ে তুলেছে ইসরাইল। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলি নাগরিকরা কমপক্ষে ১২০টি হামলা চালানোর তথ্য প্রমাণ বা নথিপত্র রয়েছে।