দিরাইয়ে ব্যবসায়ীর দোকানে ভাংচুর ও লুটপাটের দুই মাসেও মামলা নেয়নি পুলিশ
দিরাইয়ে হামলার দুই মাস পরও মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দরখাস্তকারী গণি মিয়া। বাদী গণি দিরাই থানার লৌলারচর গ্রামের মৃত দুলু মিয়ার ছেলে।
গণি মিয়া জানান, গত ২৮ মে একই গ্রামের ফিরোজ মিয়া, সুরুজ আলী, রাজা মিয়া, দোলা মিয়া , সমেদ মিয়া, পাখি মিয়া মিলনবাজারে তাকে একা পেয়ে হামলা করে। হামলাকারীরা তার ফার্ণিচারের দোকানে হামলা করে ভাঙচুর করে। গণি মিয়াকে মারপিট করে দোকানের ক্যাশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লুট কওে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দিরাই থানায় গণি মিয়া একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত মামলাটি রেকর্ড হয়নি। গণি মিয়া মূলত একজন প্রতিবাদী মানুষ। আসামিরা মাদক ব্যবসায়ী। এলাকাবাসী আসামিদের অপকর্মেও বিরুদ্ধে ডিআইজি বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেন এলাকাবাসী। এই স্মারকলিপিতে গণি মিয়ার স্বাক্ষও থাকায় আসামিরা তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মামলা রেকর্ড না হওয়ায় গত ১৩ জুলাই গণি মিয়া সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে আরও জানা যায়, এসআই রাজ্জাক গণি মিয়ার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি ওসির নির্দেশে মামলা তদন্ত না করে আসামি সুরজ আলীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে উল্টো অভিযোগটি ধামাচাপা দেয়। অভিযোগটি পুলিশ ফাঁড়িতে রেখে নানা টালবাহানা শুরু কওে এসআই রাজ্জাক। পরে গণি মিয়ার কাছে মামলা রেকর্ডের জন্য এসআই রাজ্জাক ২ হাজার টাকা দাবি করে। গণি মিয়া ১৫ টাকা দেন এসআই রাজ্জাকের কাছে। কিন্তু মামলা রেকর্ড করেনি। পরে আরও ১৬ শ টাকা চান এসআই রাজ্জাক। গণি মিয়া তাকে আরও ১৬ শ টাকা দেন। তবু মামলা নেয়নি পুলিশ। কিন্তু একটা সময় এসে এসআই রাজ্জাক মামলা না নিয়ে গণি মিয়াকে জানায়, মামলা করতে হলে আরও টাকা লাগবে। এসপি, ওসি কে বলে কোনো কাজ হবে না। এই মামলার দায়দায়িত্ব আমার। এ বিষয় নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে পুলিশ হ্যান্ডিং মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করবে বলে হুমকি দেন।