সামিউল হত্যাকাণ্ড : ওসি ও এসআইয়ের ‘গোপন বৈঠক’!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বর্বরোচিত নির্যাতনের মাধ্যমে সিলেটে ১৩ বছরের কিশোর সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নগরীর জালালাবাদ থানার (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন ও এসআই আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘গোপন বৈঠকের অভিযোগ ওঠেছে। নিহত সামিউলের স্বজনরা এই অভিযোগ করেছেন।
তাদের অভিযোগ, গত বুধবার দুপুরে সামিউলের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় স্থানীয় লালাই মিয়া ম্যানশনের (যেখানে সামিউলকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়) চৌকিদার ময়না মিয়া ও নিরীহ ব্যক্তি সুধীপ কাপালিকে ফাঁসিয়ে প্রকৃত খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন জালালাবাদ থানার (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন ও এসআই আমিনুল ইসলাম।
ওইদিন রাত ১১টার দিকে সামিউলের বাবা শেখ আজিজুর রহমান, বড় চাচা শফিকুর রহমান, ছোট চাচা আল আমিন, মইয়ারচর গ্রামের মুরব্বি মো. আলী দুদু মিয়া এবং সামিউলের মামাতো ভাই শেখ আবদুল মালিক থানায় প্রকৃত নির্যাতনকারী ঘাতকদের বিরুদ্ধে মামলার রুজু করার জন্য (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন ও এসআই আমিনুল ইসলামকে অনুরোধ করেন।
সামিউলের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ও মইয়ারচর গ্রামের মুরব্বি মো. আলী দুদু মিয়া অভিযোগ করেন, তাদের অনুরোধে কান দেননি (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন ও এসআই আমিনুল ইসলাম। উল্টো তাদেরকে থানার ডিউটি রুম থেকে বের করে দিয়ে অভিযুক্ত দুইজন ফোনের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের সঙ্গে ‘গোপন বৈঠক’ করেন।
তাদের অভিযোগ, ওই দুজন প্রকৃত খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দাবির মুখে বাধ্য হয়ে তারা সামিউল হত্যা মামলায় প্রকৃত নির্যাতনকারী ঘাতকদের নাম অন্তর্ভূক্ত করেন।