প্রতিদ্বন্দীকে জন্মসনদ দিতে চেয়ারম্যানের অনীহা
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ আলীর বিরুদ্ধে তার প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জন্মসনদ দিতে অনীহা এবং কালক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র জানায়, কুলাউড়া প্রেস কাবের সাবেক সভাপতি, হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর গ্রামের মরহুম আবদুল লতিফ তালুকদারের পুত্র তালুকদার আবদুল বাছিত বাচ্চু বিগত ২০০৩ ও ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। ২০০৩ সালের নির্বাচনে তিনি মাত্র ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। তখন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মবশ্বির আলী এবং আবদুল বাছিত বাচ্চু ২য় ও মাহমুদ আলী ৩য় হন। পরে ২০১১ সালে আবদুল বাছিত বাচ্চু ২৯০০ ভোট পেয়ে ২য় হন এবং মাহমুদ আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন আগামী বছর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দিলে হাজীপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী আমেজ বইতে শুরু করেছে। সর্বশেষ মাহে রমজানের শুরু থেকেই আবদুল বাছিত বাচ্চুসহ হাজীপুরে ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেন। আবদুল বাছিত বাচ্চু বলেন, জুন মাসের শেষ দিকে ইউনিয়ন পরিষদে জন্মসনদ পাওয়ার জন্য আবেদন করি। ৮-১০ দিন ইউপি সচিব, তথ্য সংগ্রহকারী এ নিয়ে নানাভাবে কালক্ষেপণ ও টালবাহানা করেন। ৬ই জুলাই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আমাকে জানান, বই নং-৭, সনদ ইস্যু ও নিবন্ধনের তারিখ ২রা জুলাই, নিবন্ধন নং-১৯৭৭৫৮১৬৫৩৫০৩০৮৫০-এর মাধ্যমে জন্মসনদ এন্ট্রি হয়েছে। সেই নিবন্ধিত কপি নিয়ে আমার এক প্রতিনিধি চেয়ারম্যানের কাছে সিল ও স্বাক্ষরের জন্য গেলে চেয়ারম্যান তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, উনি (বাচ্চু) জন্মসনদের আবেদন করেছেন তা আমি জানি না। আর কোন গ্রহণযোগ্য প্রতিনিধি তিনি পাঠাননি। দফাদার আমাকে গতকাল ফোন করে বলেছে আবদুল বাছিত বাচ্চু জন্ম সনদের আবেদন করেছেন। তবে তিনি (চেয়ারম্যান) তালুকদারের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।