তাহিরপুরের হাওরাঞ্চলের দর্জিপাড়া সরগম
তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের হাওর পাড়ের দর্জিপাড়ার শেষ মুহুর্তে সরগম হয়ে উঠেছে। হাওর পাড়ের দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রাম গুলোর দর্জি পাড়ায় ও বাজার গুলোতে মেশিনের শব্দ যেন জানান দিচেছ ঈদ এস গেছে। ঈদের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত চলবে ব্যস্ততা। দর্জি পাড়ায় নোটিশ র্বোড টানানো হয়ে গেছে অর্ডার নেওয়া হবে না। রমজানের শুরু থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ সদর সহ তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা,বিশ্বাম্ভরপুর,দিরাই,শাল্লা সহ ১১টি উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকার দর্জিগন। এ যেন ঈদ উৎসবের পালে ঝড়ো হাওয়া। সবাই যে যার দায়িত্ব নিয়ে বোতাম লাগানো,বোতামের ঘর সেলাই করা,নির্দিষ্ট লোক জনের কাপড় কাটায় ব্যস্ত দর্জি মাষ্টার,কারও গলায় ফিতা,হাতে কাঁচি,কেউ সেলাই করছে,পাশেই জমা হচেছ তৈরি পোশাকের স্তুপ,দম ফেলার ফুসরত নেই। কোন অপ্রয়োজনীয় কথা নেই করো মুখে শুধু কাজ আর কাজ। শুক্ষ ভাবে কাষ্ট মাড়ের মাপ অনুযায়ী সেলোয়ার,কামিজ,র্শাট,পেন্ট ভাল ভাবে সময় মত কাপড় সেলাই করে বিতরন করার জন্য বিরামহীন ভাবে কাজ করছে প্রধান কাটিং মাষ্টার ও কর্মচারীরা। রমজানের আগেই শুরু হওয়া এই ব্যস্ততা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ যেন পাল তোলা নৌকায় জড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া চিত্র। বিক্রেতারা নানা রখমের মুখরোচক কথা বলে বিক্রি করছে শেষ মুহুর্তে বিভিন্ন রং,ডিজাইনের কাপড়। লং কামিজের সঙ্গে ডোলা সালোয়ার শহরের রমনীদের পছন্দ না থাকলেও হাওর পাড়ের মেয়েদের খুবেই পছন্দ। আর কামিজ বানিয়ে নিজেই সুতা,পুঁতির কাজ করবেন বলে আগেই দর্জি বাড়ি এসেছেন অনেকেই। আধুনিক সভ্যতার প্রভাব ও কম পরে নি হাওরাবাসীর মাঝে তাই অনেকেই ছুটছেন গ্রামের হাট বাজার থেকে শহরের নামী দামী দোকানে নতুন ডিজাইনের আকর্শনীয় পোশাকের খুঁজে। ঈদ কে ঘিরে তাহিরপুর উপজেলার টেইলারিং হাউজ গুলো এখন দিন রাত পুরো সময়ই খোলা। রাত ৮টার পর সরকারী নিয়ম দোকান বন্দ্ব হয়ে গেলেও পোশাক বানানোর কাজ চলছে মধ্য রাত পর্যন্ত আর দর্জি কারীগরদের ছুটি বন্দ্ব। দর্জিপাড়ার দোকান গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানাযায়- ২০০-থেকে ২৫০ টাকার মজুরি এখন বেড়ে দারিয়েছে ৩০০-৩৫০শত টাকার বেশী। এমনিতেই কাপড়ের দাম বেশি তার উপর আবার পোশাক বানানোর মজুরি বৃদ্বি মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ। মরা আর বাচাঁ যাই হউক ঈদ মানেই আনন্দ,নতুন কাপড়,উল্লাস তাই সব কিছুই যেন হার মানায় সুনামগঞ্জের হাওর বাসীর কাছে। নিজের পছন্দের কাপড় কিনে পোশাক বানানোর আনন্দই আলাদা দর্জির কাছে আসা লোকজনেরা জানান। তাহিরপুর বাজার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান-যারা গজের কাপড় কিনে দর্জি বাড়ির জামেলায় যেতে চান না তারা ছুটছেন থ্রি পিছ রেডিমেট কাপড়ের দোকানে। দর্জি পাড়ার মালিক গন জানান- সারা বছর যে পরিমান কাজ হয় তার চেয়ে ২ঈদে কাজের পরিমান বেশি। দর্জির কাজ করে জীবনে রোজা-ঈদের আনন্দ করার সময় সুযোগ থাকে না কারন কাষ্ট মারের কাপড় ডেলিভারী দেওয়ার চিন্তায় অস্থির থাকতে হয় সারাক্ষন। তবে ব্যস্ততা থাকলেও এটাকেই ঈদের আনন্দ মনে হয়। তাহিরপুর বাজারের টেইলার্স সুফিয়ান মিয়া জানান-বুটিক হাউস বা যে কোন মার্কেট থেকে পোশাক কিনলে অন্যের পোশাকের সাথে মিলে যাবে। তাই অর্ডার দিয়ে নিজের চাহিদা মত পোশাক তৈরি করে অনেকে র্সাচছন্দ বোধ করেন। রেডিমেট পোশাকের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের ঝোঁক তাকলেও আনরেডি কাপড় কিনে তৈরিতে ব্যস্থতার কমতি নেই আমরা দর্জি কারিগরদের। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান-হাওর বেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলার হাওরাঞ্চলের দর্জি পারায় কর্মরত দর্জিগন এখন ব্যস্থ সময় পার করছে। আগে ত সবাই দর্জির উপর নির্ভরশীল ছিলাম। এখন বিভিন্ন ব্যান্ডের রেডিমেট তৈরি কাপড়ের প্রতি মানুষের আকর্শন বেড়েছে তবুও দর্জি কারিগরা তাদের শুক্ষ কাজের মাঝে নিজেদের ঐতিয্য ধরে রেখেছে।