সিলেটে বেসিক ব্যাংকের ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ : চলছে দুই মামলা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটের বেসিক ব্যাংকের জিন্দাবাজার শাখা থেকে ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে ২ কোটি ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত শনিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে এই তথ্য জানান মন্ত্রী। এই টাকা আত্মসাৎ ঘটনায় অর্থঋণ আদালতে ও ফৌজদারি আদালতে দুটি মামলা চলছে বলে জানা গেছে। মামলা দুটির পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ জুলাই ও ২৯ জুলাই হওয়ার কথা। ২০০৯ সালে অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনায় ওই বছরের ২ জুলাই মামলা দুটি করা হয়েছিল।
গত শনিবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, সিলেটে বেসিক ব্যাংকের জিন্দাবাজার শাখা থেকে ভুয়া এফডিআরের মাধ্যমে ২ কোটি ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। ব্যাংকটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার মাধ্যমে এমন নয়-ছয়ের বিষয়টি ধরা পড়ে। ২০০৯ সালে এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বেসিক ব্যাংক, জিন্দাবাজার শাখার তিন ব্যাংক কর্মকর্তা সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক পারবান চৌধুরী, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা কামাল এবং সাবেক ব্যবস্থাপক সালেহ আহমদ চৌধুরী জড়িত। তারা ব্যাংকের জিন্দাবাজার শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে এই টাকা সুকৌশলে আত্মসাৎ করেন বলে মন্তব্য খোদ অর্থমন্ত্রীর। তবে এই তিনজনের প্রত্যেকে আত্মসাৎকৃত ২ কোটি ৯ লাখ টাকার মধ্যে কে কতো টাকা নিয়েছেন, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
জানা যায়, অভিযুক্ত এই তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই অর্থঋণ মামলা করা হয়। যার নং ১০/০৯। চলতি বছরের ৩১ মে মামলার সর্বশেষ শুনানি হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২৯ জুলাই নির্ধারিত রয়েছে। অপরদিকে ফৌজদারি মামলা নং ৩৫/২০১০ এর সর্বশেষ শুনানি হয় চলতি বছরের ২৫ মে। এ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ৫ জুলাই নির্ধারিত রয়েছে।
এ ব্যাপারে বেসিক ব্যাংক, জিন্দাবাজার শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে ২০০৯ সালে। অন্যদিকে ব্যাংকের এ শাখায় তিনি যোগদান করেন গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে। এ কারণে পুরো বিষয়টি তার জানা নেই। তবে আদালতে মামলা চলার বিষয়টি তিনি জানেন বলে জানিয়েছেন।