পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখালো নজির শেখ ও নসু শেখ

নিষেধ থাকা সত্ত্বেও উত্তর মৈশাদীতে বসতরত আলীর জায়গায় দেয়াল নির্মাণ অব্যাহত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের উত্তর মৈশাদী গ্রামে অসহায় পরিবারের উপর সম্পত্তি আত্মসাতের পাঁয়তারা থামছেই না। দীর্ঘদিন ধরে অসহায় পরিবারের সম্পত্তি ভোগ দখল করে যাচ্ছে ভূমিদস্যু আলমাছ শেখের সন্তান, রশিদ শেখ ও তার সন্তান এবং রুহুল আমিন শেখ ও তার সন্তানরা। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় বহু লেখালেখি হলেও থামছেনা ভূমিদস্যুদের নির্যাতন। বরং অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ নিয়ে কিছুদিন আগে রশিদ শেখের ছেলে হেলাল শেখ ও তার দু’ ভাই, রুহুল আমিন শেখের ছেলে অজুদ শেখ ও রশিদ শেখ নিজেই বসরত আলী শেখের বড় ছেলে বৃদ্ধ আবুল হোসেন শেখকে বেদম মারধর করে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। দলিল মূলে বশরত আলীর মা জমিলা খাতুন থেকে প্রাপ্ত এসএ খতিয়ান নং ২৩ অনুযায়ী (যেখানে আলমাছ শেখ কিংবা তাদের অলি ওয়ারিশের কোন নামই নেই) সাবেক ৪৭৪ ও ৪৭৫ দাগের সাড়ে ৫ শতাংশ জায়গায় গত ২১ জুন দেয়াল নির্মাণ শুরু করে আলমাছ শেখের ছেলে নজির শেখ। এ নিয়ে বশরত আলীর সন্তানরা বাঁধা নিষেধ করতে গেলে তাদেরকে মারতে তেরে আসে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। এ নিয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দেয়াল নির্মাণ করতে নিষেধ করে এবং পরদিন রাত ৮টায় মডেল থানায় বিরোধীত জায়গার কাগজপত্র নিয়ে উভয়পক্ষকে থানায় হাজির থাকতে বলে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর পরই নজির শেখ আবার দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। পরদিন রাত ৮টায় আসার কথা থাকলেও আসেনি। এরপর থেকেই বসরত আলীর সন্তান অথবা তাদের ওয়ারিশদের দেখলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে নজির শেখ। চাঁদপুর থেকে সবকিছু ম্যানেজ করে নাকি এখন দেয়াল নির্মাণই শুধু নয় এখানে বাড়িও তৈরি করবে কেউ বাঁধা দিবে না।
স্থানীয়রা জানায়, নজির শেখ বিদেশ থেকে দেশে এসেছে বসরত আলী শেখের ওয়ারিশদের কাছ থেকে জায়গা কিনে রাখবে অথবা তাদের জায়গা ফেরত দিবে বলে। কিন্তু তা না করে বসরত আলী শেখের ছেলে আবুল হোসেন শেখ ও সফিক শেখকে কাউকে না জানিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে বলে। তারা রেজিস্ট্রি অফিস না যাওয়াতে বড় ভাই নসু শেখের ক্ষমতা জাহির করে জোড়পূর্বক বসরত আলী শেখের জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করছে। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শকের নিষেধ সত্ত্বেও বিরোধিত জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উত্তর মৈশাদীতে বিরোধিত জায়গার বিষয়টি সমাধানের জন্য মডেল থানায় ডাকলেও বিবাদী পক্ষ হাজির হননি। এখন বাদী পক্ষ যদি মামলা করতে চায় তাহলে মামলা করতে পারবে।