হাতিরঝিলে পুলিশের গুলিতে আহত যুবকের পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যু

Policeসুরমা টাইমস ডেস্কঃ হাতিরঝিল এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত ইউসুফ (৩৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে মারা গেছেন। তবে নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ সোমবার বিকেলে তাকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার হাজত খানায় আসছেন। তারপর রাতে পুলিশ এই গুলির নাটক সাজিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ৩ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি সোমবার হাতিরঝিলের সিদ্দিক মাস্টার ঢালের অদূরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২২ জুন রাতে বেগুনবাড়ি এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা তিনজন প্রাইভেটকারযোগে পিস্তল ও ছুরি দেখিয়ে সাইফুল ইসলাম নামে এক বিকাশেকর্মীর দুই লাখ আশি হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা পিস্তল দিয়ে সাইফুল ইসলামের পায়ে দুই রাউন্ড গুলি করে। এ ঘটনায় ২৩ জুন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে নিহত ইউসুফ জড়িত ছিলেন। সে চিহ্নিত ছিনতাইকারী।
ওসি আরো জানান, সোমবার রাতে এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে রাত ২ টার দিকে হাতিরঝিল এলাকায় পুলিশের একটি টহল দল দায়িত্ব পালন করে। এসময় সিদ্দিক মাস্টারের ঢালের অদূরে একটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় ইউসুফ আহত হয়। অপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত গুলির খোসা এবং চাপাতি উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় ইউসুফকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি। এদিকে নিহতের স্ত্রী রোকসানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে দাড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, রোববার আগারগাঁও এলাকার ৬০ ফিট এলাকা থেকে ইউসুফকে আটক করে পুলিশ। সোমবার বিকেলে তেজগাঁও থানা হাজতে তাকে দেখেছেনও স্ত্রী রোকসানা। এরপর ওই দিন রাতেই হাতিরঝিলে ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয় বলে পুলিশ জানায়।
তিনি পুলিশের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ইউসুফ রেন্ট-এ-কার এর চালক। তাদের দুইটি পুত্র সন্তান আছে। বড় ছেলেন নাম শ্রাবন (১০) এবং দেড় বছরের ছোট ছেলে স্বাধীন।’