বিয়ানীবাজারে সংখ্যালঘু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও প্রাননাশের হুমকির অভিযোগ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপারা ইউনিয়নের সানেশ্বর বাজারে এক সংখ্যালঘু যুবককে মারধর ও একই রাতে তিনটি সংখ্যালগু পরিবারের দোকান লুট করে সত্ত্বাধীকারীদের প্রাননাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে রাতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার বিয়ানীবাজার থানায় ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় , গত শনিবার সানেশ্বর গ্রামের আব্দুল কাদির ও বিলাল মিয়া অঞ্জন দাস নামক এক যুবককে মারধর করেন। ঐদিন সন্ধ্যায় সানেশ্বর বাজারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামানের মধ্যস্থতায় বাজারের দেবলের হোটেলে উক্ত ঘটনা নিস্পত্তির জন্য শালিশ বৈঠক বসে। কিন্তু বৈঠক চলাকালে রাত অনুমানিক ৯টায় কাদির ও বিলাল সহ আরও কয়েকজন হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে সালিশ বৈঠকে উপসিস্থত সকলের সামনে অঞ্জন দাসকে আবারও মারপিট শুর করে।
একপর্যায়ে কাদির, বিলাল ও সেলিম হোটেলের চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় তাদেরকে সাম্প্রদায়িক হুমকি দেয়া হয়। গুরুতর আহত অঞ্জন দাসকে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে। তার অবসস্থা আশঙ্কাজনক।
হোটেলের আসবাবপত্র ভাংচুর করার ঘটনায় হোটেল মালিক দেবানন্দ দাস থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান, সালিশ বৈঠকে অঞ্জন দাসকে আক্রমন করে ও হোটেল ভাংচুর করে আক্রমনকারীরা হিন্দু জনগুষ্টিকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে ও শেখ হাসিনার ‘রাজত্ব’ শেষ হলেই সানেশ্বর থেকে হিন্দুদের বের করে দেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘঁনার পর থেকে উক্ত সন্ত্রাসিরা সানেশ্বর বাজারে সশস্ত্র অবস্থান নেয় এবং হিন্দুদের হুমকি ধামকি দেয়। একপর্যায়ে ভয় পেয়ে গ্রামের হিন্দুরা বাজারে আসা বন্ধ করে দেন।
এ ঘঁটনার দুদিন পর মঙ্গলবার রাতে সানেশ্বর বাজারে তিনটি হিন্দু মালিকানাধিন দোকান লুট করে নিয়ে যায় লুটেরারা। সকালে বাজারে এসে দোকান মালিকদেরকে এ ঘটনায় মামলা করলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ফারুক , গনি, রুমেল, জামিল , মহিত সহ কয়েকজন সন্ত্রাসী। উক্ত ঘটনায় সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরও একাট মামলা করেছেন অপর হোটেল মালিক সুরজিৎ দাস।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুবের আহমদ বলেন ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা মামলা নিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবসস্থ্যা নেব , কোন ছাড় ওেদয়া হবে না।