খানা খন্দকে ভরপুর বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়ক
তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ
সিলেটের বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী সড়ক যথা সময়ে সংস্কার কাজ না করায় এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এদিকে, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে সড়কের ওপর জাল বেয়ে প্রতিকী মাছ শিকার করেছে শিশুরাও।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ‘বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজী’ সড়কটি যথাসময়ে সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। কিন্ত এখনো রয়ে গেছে প্রায় ১৩ কিলোমিটার এই সড়কের সংস্কার কাছের বাকি। বর্ষা শুরুর পূর্বেই মুসল ধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে সড়কে থাকা গর্তগুলোতে পানি জমে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। মাসখানেক পূর্বে রশিদপুর থেকে সড়কটির প্রথম ছয় কিলোমিটার অংশে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়, তবে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ অংশে কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটির এমন বেহলা দশায় দেখেও না দেখার ভান করছেন। দেখলে মনে হয় সড়কটি যেন মাছ চাষের উপযোগী। এ সড়কটির বেহাল দশার ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা-যাওয়াকারী রোগীরা।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের মে মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ‘বর্ধিতকরণ ও সংস্কার কাজ’ শেষে উদ্বোধন করা হয়। তবে উদ্বোধনের ১০-১৫ দিন পর থেকেই সড়কের বিভিন্ন অংশে গর্ত ও ভাঙ্গন সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের দুই পার্শ্বে আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ, দুটি মাদরাসা, অসংখ্য মসজিদ, মৎস্য ও কৃষি খামার রয়েছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাশাপাশি ছাতকসহ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার মানুষও ওই সড়কে যাতায়াত করেন। ছাতকস্থ দুটি বৃহত্তম সিমেন্ট কোম্পানীর ভারী যানবাহনও চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। তারপরও জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না। শীঘ্রই সড়কটি সংস্কার কাজ করে জনসাধারণের দূর্ভোগ লাগব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন এবং বর্তমান সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অটোরিকশা চালক সফিকুল ইসলাম বলেন, পেটের কারণে ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে ওই সড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছি।
শিক্ষার্থী আসাদুজামান নাহিদ বলেন, সড়কের গর্তগুলো দেখলে মনে হয় একেকটি পুকুর। আর সেই গর্তগুলোতে জমে থাকা পানি দেখলে যে কেউই তাতে মাছ শিকার করতে যাইবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, নিরাপথে চলাচলের জন্য সড়কের অধিক ক্ষতিগ্রস্থ অংশটুকু সংস্কার করে দেয়া হবে। আগামী অর্থ বছরে বরাদ্ধ আসলে সড়কের অবশিস্ট অংশে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, পর্যায়ক্রমে সড়কটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।