সিলেটের আদালতে আরিফ-গৌছের হাজিরা রবিবার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বহুল আলোচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এ মামলার অন্যতম সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জিকে গৌছসহ কারান্তরীণ আসামিদের সিলেটের আদালতে হাজির করা হবে রবিবার।
রবিবার (২১জুন) সকাল ১০টার দিকে সিলেট জেলা জজ আদালতে হাজিরের পর মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হবে। ওই আদালতে পরবর্তী ধার্য্য তারিখে চার্জ গঠনের পর বিচার কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়েছে আদালত সূত্র।
সিলেট আদালতে আসার পূর্বে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ আলোচিত এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ২ জুন হবিগঞ্জ জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নিশাত সুলতানার আদালত থেকে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারী মামলাটি পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। বর্তমানে এই মামলার চার্জশিটভুক্ত সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গৌছসহ ৩২ আসামির ১৪ জন কারান্তরীণ। জামিনে রয়েছেন ৮ জন। বাকিরা পলাতক।
সিলেট জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি শামসুল ইসলাম বলেন, শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলাটি সারা দেশের জঙ্গি মামলার মধ্যে অন্যতম। এটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে সরকার। তাই দ্রুত বিচারে আইন অনুযায়ী মেয়াদের মধ্যেই এ মামলার বিচার শেষ করা হবে। এ ঘটনায় পলাতকদের আইনের আওতায় আনা হবে। যেমনভাবে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার সমাপ্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এএসএম কিবরিয়া ছিলেন একজন কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেছেন। চার দলীয় জোট সরকারের সময় জামায়াত-বিএনপির মদদে জঙ্গিগোষ্ঠী গ্রেনেড মেরে তাকে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বলেন,মামলার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ রোববার (২১ জুন)। তাই এ মামলায় কারাগারে থাকা সিসিক ও হবিগঞ্জের মেয়রকে আদালতে হাজির করা হবে ।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আব্দুর মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন ।