থাইল্যান্ডের বন্দিশালায় জগন্নাথপুরের যুবক এমদাদুল আটক
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ নবীগঞ্জের সীমান্তবর্তী জগন্নাথপুরের সহজ সরল ছেলে এমদাদুল। গত প্রায় ২ মাস পুর্বে মা বাবার সাথে অভিমান করে চলে যায় চট্রগ্রামে। সেখান থেকে দালালের খপ্পড়ে পড়ে পাড়ি দেয় মালেশিয়া। বর্তমানে সে থাইর্যান্ডে দালাল চক্রের বন্দিশালায় অবস্থান করছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তার মুক্তিপন হিসেবে চাওয়া হয়েছে এক রক্ষ ২০ হাজার টাকা জানা যায়,জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কামড়াখাইড় (উত্তর পাড়) গ্রামের আব্দুন নুর এর পুত্র এমদাদুল হক(২৭) ৫ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট। জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে নিজেকে প্রতিষ্টিত করার লক্ষে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়েই গত প্রায় ২ মাস পূর্বে কাজের সন্ধানে চলে যায় চট্রগ্রামে। সেখানে কিছু দিন অবস্থান করার পর দালালের মাধ্যমে বাই রোডে মালেশিয়া যাবার স্বপ্ন দেখে। সব কিছু ঠিক ঠাক করে সংবাদটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়িতে ও জানিয়ে দেয় এমদাদুল। এমদাদুল এর বড় ভাই দেলোয়ার জানান,তার ভাই ফোন করে তার বিদেশ যাবার বিষয়টি জানানোর ২/৩দিন পর সুমন ওরপে মোহন নামের এক ব্যক্তি মালেশিয়া থেকে তার কাছে মোবাইল ফোন করে জানায়,তার বাড়ি নবীগঞ্জের আলিতলা গ্রামে। সে দীর্ঘ দিন যাবত মালেশিয়া অবস্থান করছে। এমদাদুলকে সেই মালেশিয়া নিতেছে বলে জানায়। এর এক মাস পর সুমন দেলোয়ারকে ফোন দিয়ে জানায়,তোমার ভাই বর্তমানে মারেশিয়া আমার কাছে আছে। এখানে আসার খরচ বাবত তার পিতার কাছে ২লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে দেলোয়ার সুমনের পিতা পর্তাব উল্লার কাছে ২লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেয়। এর পর থেকে তারা আর এমদাদুলের সন্ধান পাননি। এ ব্যাপারে এমদাদুলের বড় ভাই দেলোয়ার জানান,গত প্রায় এক সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ড থেকে অঞ্জাত নাম্বারে ফোন দিয়ে তার ভাই জেলে আছে জানিয়ে বলে ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। এ ভাবে প্রায়ই অঞ্জাত নাম্বার থেকে ফোন আসে।। তিনি আরো বলেন,বিভিন্ন সূত্রে আমরা জেনেছি আমার ভাই থাইল্যান্ডে বন্দি আছে। তিনি তার ভাই এমদাদুলকে সুস্থ্য অবস্থায় ফেরত পেতে সরকারের নিকট দাবী জানান।