অন্তঃসত্বাকে রেখে ডাক্তারের পলায়ন, জন্ম নিল মৃত শিশু
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর রিকাবীবাজারস্থ আইডিয়াল ক্লিনিকে এক অন্তঃসত্বাকে রেখে চিকিৎসক পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে অন্য চিকিৎসকের সহযোগিতায় সিজারের মাধ্যমে ওই অন্তঃসত্বা এক মৃত শিশু জন্ম দেন। সোমবার রাত ১১টায় ওই ইয়াসমিন বেগম (২৫) নামের ওই প্রসূতি মাতার সিজার সম্পন্ন হয় বলে ক্লিনিক সূত্র জানিয়েছে। ইয়াসমিন বেগম সুবিদবাজার নূরানী আবাসিক এলাকার জুবায়ের আহমদের স্ত্রী।
ক্লিনিক ও প্রসূতির পরিবার সূত্রে জানা গেছে- ইয়াসমিন বেগম অন্তঃসত্বা হওয়ার পর থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপিকা ডা. নাদিয়া আক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার পরামর্শক্রমে সোমবার সকাল ৯টায় ইয়াসমিনকে ভর্তি করা হয় আইডিয়াল ক্লিনিকে। বেলা ১টার দিকে ডা. নাদিয়া এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান ইয়াসমিনের সিজার লাগবে না, বিকাল ৫টার মধ্যে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হবে।
বিকেল ৪টার দিকে ডা. নাদিয়া আবারও ক্লিনিকে এসে ইয়াসমিনকে দেখেন। ইয়াসমিনের অবস্থা সংকটাপন্ন এবং গর্ভস্থ শিশু মারা গেছে বুঝতে পেরে তিনি কৌশলে ক্লিনিক থেকে সটকে পড়েন। এরপর তিনি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দেন।
মোবাইল ফোনে ডা. নাদিয়াকে না পেয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সিলেট সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শাহ্ ফাহমিদা সিদ্দিকা পপিকে ডেকে আনেন। তিনি ইয়াসমিনের সিজারিয়ান অপারেশন করে গর্ভ থেকে মৃত শিশু বের করে আনেন।
ক্লিনিক থেকে ডা. নাদিয়ার চলে যাওয়া ও পরবর্তীতে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন আইডিয়াল ক্লিনিকের ম্যানেজার আবুল হোসেন। এ ব্যাপারে জানতে সোমবার রাত ১২টার দিকে ডা. নাদিয়া আক্তারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর রং নাম্বার বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।