ব্যবসায়িদের স্বেচ্ছারারিতায় গোয়ালাবাজার-বালাগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা

balagonj pic .28.11.14শাহ মো. হেলাল, বালাগঞ্জঃ বালাগঞ্জ উপজেলার গোয়ালাবাজার-ইলাশপুর-বালাগঞ্জ সড়কে দিবা রাত্রি ভূমি ও মাটি ব্যবসায়িদের ট্রাক ও ভারি যানবাহন চলাচলের ফলে ফেটে গেছে পাকা রাস্তা। উঠে গেছে আস্তর। রাস্তার অনেক স্থান নিচের দিকে দেবে উচু নিচু হয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা অবগত হলে তা নিষেধ করলেও ইতিমধ্যে রাস্তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেলেও তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ নেয়া হয়নি। অন্য দিকে দাসপাড়া খালের উপর মাটি দিয়ে বাধ নির্মাণ করে মাটি নেয়ার কাজ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পূর্বঞ্চলের প্রায় অর্ধশত গ্রামের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র রাস্তা গোয়ালাবাজার-ইলাশপুর-বালাগঞ্জ সড়ক প্রায় এক বছর আগে পাকা পুন:সংস্কার করা হয়। যাতে ভারি যানবাহন চলাচল করতে না পারে সে জন্য এ রাস্তার তিনটি স্থানে গেইট নির্মাণ করার কথা তাকলেও তা নির্মাণ করা হয়নি। একটি ঘয়নাঘাট, চান্দাইরপাড়া প্রবেশ মূখ ও ইলাশপুরের মূখে গেইট নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় রাত দিন ভারি যান চলাচল করে। বিশেষ করে রাতে চলাচল করে। ফলে অপূরণীয় তি হয়েছে এর রাস্তার।

এ রাস্তা নির্মাণের পর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দিবা রাত্রি ভারি যানবাহন চলাচল করতে থাকে। যার ফলে গোয়ালাবাজার ঘয়নাঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা অনেকটা উচু নিচু হয়ে গেছে। ফেটে গেছে পাকা রাস্তা। অনেক স্থান ভেঙ্গে গেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি আর কে বাবু নামে এক ব্যক্তি ট্রাক দিয়ে মাটি দিবা রাত্রি নেয়ার কারণে আরো বেশি ফেটে যায়। উচু নিচু আর পেটে যাওয়ার কারণে আবার সেই পুরনো ভাঙ্গা রাস্তায় পরিনত হবে। সমস্যায় পড়বে এ এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
সম্প্রতি একটি ভূমি ও মাটি ব্যবসায়িরা ট্রাক দিয়ে জমির মাটি নেয়ার কারণে রাস্তার অবস্থা যায় যায় অবস্থা। বিষয়টি স্থানীয়রা বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াহেদুলকে অবগত করলে সেখান থেকে এসকেরেটর মেশিন সড়িয়ে নেয় মাটি ব্যবসায়িরা। কিন্তু এরপর ঘয়নাঘাট এলাকায় আবার খালের উপর মাটি দিয়ে বরাট করে মাটি নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়। যাদের মাটির গাড়ি চলাচলে রাস্তার তি হয়েছে তাদের থেকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ নেয়া হয়নি।
এব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াহেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা আমাদের লোকজন পাটিয়ে মেশিন উঠিয়ে নেয়ার কথা বলেছি এবং নিষেধ করেছি এ রাস্তা দিয়ে মাটির ট্রাক না নেয়ার জন্য।