বিশ্বনাথে অগ্রণী ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ : ব্যাংক ম্যানেজার ও ভাইকে আসামী করে মামলা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: বিশ্বনাথে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে গ্রাহকের টাকা উদাও হওয়ার ঘটনার পর এবার অগ্রণী ব্যাংক থেকে এক গ্রাহকের তিন লাখ টাকা চেক জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী নূরুন নাহার লিপি বাদি হয়ে আপন ভাই ও অগ্রনী ব্যাংকের ম্যানেজারকে আসামী করে গতকাল বুধবার সিলেটে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। দরখাস্ত মামলা নং- ১৪২/২০১৫।
মামলার আসামীরা হলেন-উপজেলার কালিগঞ্জবাজারের বাসিন্দা ও বাদির ভাই বাবরুল হোসেন বাবুল (২৮) ও অগ্রণী ব্যাংক কালিগঞ্জবাজার শাখার ব্যবস্থাপক রামেন্দ্র নারায়ন সরকার (৪৮)।
আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে বাদি নূরুন নাহার লিপি উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত বাবরুল হোসেন বাবুল তার আপন ভাই। গত ৫ মে বাবুল তার (লিপি) কাছ থেকে অগ্রণী ব্যাংক কালিগঞ্জবাজার শাখায় তার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বার (৪৩৮০) থেকে চেকের মাধ্যমে কর্জ হিসেবে তিন লাখ টাকা উঠিয়ে নেয়। এরপর গত ১৩ মে কর্জ হিসেবে আরো টাকা বাবুল চাইলে তিনি ঐ একাউন্ট এর খালি একটি চেকে স্বাক্ষর করে বাবুলের হাতে দিলে বাবুল চেকে অংকে ৭০ হাজার টাকা লিখে ব্যাংকে চলে যায়। বাবুল ও ব্যাংকের ম্যানেজার রামেন্দ্র নারায়ন সরকার আতাত করে ঐ চেকটি ঘষামাজা করে ৭০ হাজার টাকার স্থলে ৩ লাখ টাকা বসিয়ে এবং স্বাক্ষর জাল করে তার একাউন্ট থেকে বাবুল টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন।
এজাহারে বাদি আরো উল্লেখ করেন, তিনি গত ২৫ মে টাকা উঠাতে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন তার একাউন্টে টাকা নেই। একাউন্ট থেকে টাকা উদাও হওয়ার বিষয়টি ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে চেক জালিয়াতি করে টাকা উঠানোর বিষয়টি বাদির কাছে ম্যানেজার স্বীকার করেছেন বলেও তিনি (লিপি) অভিযোগ করেন। এরপর বাসায় গিয়ে অভিযুক্ত বাবুলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে বাবুল তার বোন লিপি (বাদি) কে মারধর করে ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। এঘটনায় গতকাল বুধবার সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা দায়ের করেন নূরুন নাহার লিপি।
এব্যাপারে অগ্রনী ব্যাংক কালিগঞ্জবাজার শাখার ব্যবস্থাপক রামেন্দ্র নারায়ন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, একটি চেকের মাধ্যমে বাবুল তার বোনের (লিপি) একাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন। স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নূরুন নাহার লিপি’র স্বাক্ষর বেরিফিকেশন করেই এবং মোবাইল ফোনে মাধ্যমে তার (লিপি) সাথে কথা বলেই টাকা প্রদান করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।
অভিযুক্ত বাবরুল হোসেন বাবুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।