ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক হিন্দু পরিবারের জমি দখল : হত্যার হুমকি
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের কুমিরাদহ গ্রামে এক হিন্দু পরিবারের জমি জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছে ভুমিদস্যুরা। প্রতিবাদ করায় ওই পরিবারকে স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারা। এতে ভুক্তভূগিরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানা যায়, কুমিরাদহ গ্রামের মৃত কানছিরাম বিশ্বাসের ছেলে পলান চন্দ্র বিশ্বাস ১০ বছর আগে একই গ্রামের মৃত রনি দে’র ছেলে কমল দে’র কাছ থেকে ৭ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিল। টাকার অভাবে ও নিজের স্ব-জাতি হওয়ায় আজ পর্যন্ত রেজিস্ট্রি করেন নি তিনি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কুমিরাদহ গ্রামের বাহাদুর শেখের ছেলে ভুমিদস্যু জানে আলম জানু ও তার ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন জমির পুর্বের মালিক কমল দে’র নিকট থেকে জোর পুর্বক রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। এতে পলান বিশ্বাস ওই জমিতে গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ভুমিদস্যু জানে আলম জানু ও তার ভাই মোয়াজ্জেম হোসেনের ভয়ে বাড়ী থেকে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। আর জমি ফেরত পেতে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিচ্ছে তারা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পলান বিশ্বাস বলেন, ক’দিন আগে হঠাৎ করে আমার জমিতে লাগানো বাশ কেটে নিয়ে যায় জানে আলম। সেই সময় আমি তাদের বাধা দিলে আমাকে মারধর করতে উদ্যত হয়। জীবন ভয়ে কোন কথা বলিনা আমি। পরে বিকেলে এসে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আর বলছে, মামলা করলে ভারতে পাঠিয়ে দেব। কোন ঝামেলা করবি না। আমি এখন জীবন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। মামলায় করতে পারছি না।
পলান বিশ্বাসের স্ত্রী, মিনতি বিশ্বাস জানান, আমার বড় ছেলে কার্ত্তিক বিশ্বাস গাছ কাটার প্রতিবাদ করেছিল তাই তারা আমার ছেলেকে মারার হুমকি দিচ্ছে। মামলা করতে ভয় পাচ্ছি। শৈলকুপা থানায় গিয়ে মামলা করতে পারছি না। যদি তারা মারধর করে। কুমিরাদহ গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ ব্যক্তি জানান, ভুমিদস্যু মোয়াজ্জেম হোসেন এলাকায় নানা অপরাধ মুলক কর্মকান্ড করে বেড়াই। তার ভয়ে কেও মুখ খুলতে পারে না। তার বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় ডাকাতি মামলাও রয়েছে। যার নং-১০, তারিখ-১৮/০৯/২০১৪। এছাড়া ১৯৯৩ সালে কৃপালপুর গ্রামের ইবাদত হোসেন ও চেরাগ আলী নামের দুইজনকে প্রকাশ্যে দিবালকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, জমি দখল বিষয়ে আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।