বানিজ্যিকভাবে ঝিনাইদহে কাশ ফুলের চাষ হচেছ

Jhenidah commercial flower picture 03আহমেদ নাসিম আনসারীঃ বানিজ্যিকভাবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কাশ ফুলের চাষ হচ্ছে। গেয়ো মেঠো পথে কাশফুল শুধু সৌন্দর্য্যই বৃদ্ধি করে না, আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা দেয়। বর্তমানে গাদাফুল রজনী গন্ধ্যাসহ বিভিন্ন ফুল চাষের জন্য কালীগঞ্জের খ্যাতি রয়েছে। অন্যান্য ফুল চাষের মত কাশ ফুল চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। কারন কাশ ফুল চাষ করতে খরচ খুবই কম হয়। এবার কাশফুল চাষ করে নজির সৃষ্টিতে উপজেলার ফুল চাষীরা অধিক আগ্রহে এগিয়ে যাচ্ছে।

কাশ ফুল চাষীরা জানান, কাশ বনে গজিয়ে উঠা অন্যান্য আগাছাগুলো পরিষ্কার করে সার দিলেই চলে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে কাশবন কাটতে হয়। কাশ বন খড় বিক্রয় করতে তেমন ঝামেলা হয় না। খেত থেকেই পাইকারী ব্যসায়ী ছাড়াও পান চাষীরা ক্রয় করে নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের চাষী খোকন জানান, তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে কাশ ফুলের চাষ করেছেন। গত বৎসর তিনি ৯০ হাজার টাকার ঝাটি বিক্রয় করেছিল। এখন পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। এ বৎসর তিনি ১ লক্ষ টাকার উপরে ঝাটি বিক্রয় করবে বলে আশা করেছেন। অনুরুপভাবে কাশফুলের চাষ করছেন একই গ্রামের,মুকুল, লুৎফর।
পান চাষীরা জানান, কাশ বন থেকে পাওয়া খড় ও ঝাটি পানের বরজের জন্য খুবই প্রয়োজন। খড় দিয়ে পানের বরজে ছাউনি দেওয়া হয়। পান গাছের শলার সাথে বেধে উপরে তুলতে সাহায্য করে। সুতলি বা অন্য কিছু দিয়ে বাধলে অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু খড় দিয়ে বাধলে অনেক দিন থাকে। তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না। এ কারনে বরজে খড় ব্যবহার করা হয় । অপরদিকে ঝাঁটি বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, কাশ ফুল চাষ করলে অল্প খরচে অধিক অর্থ পাওয় যায়। অকারনে কোন জমি পড়ে থাকবে না, আবার আয়ের পরিমান বেড়ে যায়। এ চাষের জন্য চাষীদের উদ্ধুদ্ধ করা হবে।