কাব্যগ্রন্থ ‘চার আঙ্গুলের কপাল’ এর প্রকাশনা

কবিতার ভেতরে মানবিক অনুভুতিগুলোকে জাগিয়ে তুলতে হবে :শিক্ষাবিদ কবি কর্নেল (অব:) সৈয়দ আলী আহমদ

car anguler kopal pic 2বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কবি কর্নেল (অব:) সৈয়দ আলী আহমদ বলেছেন, শুধু লিখতে পারলেই কবিতা হয়না। কবিতা লিখতে হলে প্রচুর পরিমানে পড়তে হবে। নিজের লেখা কবিতায় ছন্দবোধ ও রসবোধ থাকতে হবে। কবিতার ভেতরে মানবিক অনুভুতিগুলোকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এভাবে লিখতে লিখতেই একদিন শ্রেষ্ঠ কবি হওয়া যায়। ইসতাইন আহমেদ একজন চিন্তাশীল কবি। তার কবিতায় চমৎকার কিছু আলোর ঝলকানি আছে। একদিন সে আমাদের কবিতার পরিমন্ডলকে সমৃদ্ধ করবে। কৈতর সিলেট-এর উদ্যোগে ইসতাইন আহমেদ’র প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘চার আঙ্গুলের কপাল’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেছেন।
গতকাল রোববার নগরীর দরগাহ গেইটস্থ দেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়। কৈতর সিলেট-এর সভাপতি গল্পকার সেলিম আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনজীবি ও কবি কামাল তৈয়ব।
গীতিকবি সাইয়িদ শাহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মানিক ও সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চৈতন্য সিলেট-এর স্বত্তাধিকারী রাজিব চৌধুরী।
কবি আব্দুল কাদির জীবনের পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য রাখেন আইনজীবি ও কবি আব্দুল মুকিত অপি, সাহিত্য সংসদের পাঠাগার সম্পাদক কবি নাজমুল আনসারী, প্রভাষক কবি মামুন সুলতান, বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল আহাদ, কবি মাসুদা সিদ্দিকা রুহী,ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য কবি হোসনে আরা কলি কবি বাশীরুল আমিন, প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন কবি সাংবাদিক তাসলিমা খানম বীথি, কবি জান্নাতুল শুভ্রা মনি ও কবি জালাল আহমদ জয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আজিজুল হক মানিক বলেন, একজন লেখকের জন্য বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানের দিন হচ্ছে ঈদের আনন্দময় দিনের মতো। সন্তান হলে মায়েরা যেমন আনন্দ লাভ করেন ঠিক সেই রকম আনন্দ লেখক অনুভব করেন। এই দিনে লেখকের বই নিয়ে অনেকে আলোচনা করেন। আলোচনা শুনে লেখক অনেক উপকৃত হন।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে কবি কামাল তৈয়ব বলেন, কবি আমাদেরকে যেসব প্রেমের কবিতা উপহার দিয়েছেন তা কোন প্রেম নয়। এসব হচ্ছে ক্ষনিকের মোহ। কবির মধ্যে যখন প্রকৃত প্রেম চলে আসবে তখন তিনি আরো ভালো কবিতা লিখতে পারবেন। ‘চার আঙ্গুলের কপাল’ গ্রন্থের কবির ভাগ্যের কপাল আরো বড় হোক। এই কবির মধ্যে অনেক ভালো কিছু করার প্রচেষ্ঠা রয়েছে। এই প্রচেষ্ঠার সফলতা কামনা করছি।
অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কবি ইসতাইন আহমেদ বলেন, আমার লেখালেখি শুরুর প্রাক্কালে কবিতা টবিতা পড়তে ভালো লাগতোনা। একদিন যখন কবি হেলাল হাফিজের কবিতায় চোখ পড়লো, সেদিন থেকে এই কবি আমার প্রিয় কবি হয়ে গেলেন। তার পর থেকেই আমার কবিতা লেখার সুচনা। আমার এই কাব্যগ্রন্থ পাঠ করে কারো ভালো লাগলে সেটাই হবে আমার পরম পাওয়া।
সভাপতির বক্তব্যে গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেন, পৃথিবীতে অনেক কবি-সাহিত্যিক সাহিত্য সাধনা করে গেছেন। তাদের মধ্যে সবাই বিখ্যাত হননা। কবি ইসতাইন আহমেদও সাহিত্য সাধনা করছেন। আশা করা যায় সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে তিনি একজন বড়ো লেখক হয়ে উঠবেন।বিজ্ঞপ্তি