আ’লীগ নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করলো পুলিশ, আহত ১০
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নওগাঁর পোরশায় আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। উত্তেজিত নেতাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ৪জন গুরুতরসহ প্রায় ১০জন আওয়ামী লীগ নেতা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২জনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার উপজেলা সদর নিতপুর গুডাউন পাড়ায় বাইসাইকেল খেলা হচ্ছিল। এ সময় অন্যান্য পুরুষ মহিলা দর্শনার্থীর মত ঐ এলাকার হিন্দু পরিবারের সুটা ওয়ালার মেয়ে নিলা ও মুসলিম পরিবারের ছেলে গুল মহাম্মদের পুত্র মতিউর রহমান খেলা দেখতে যায়।
এক পর্যায়ে তাদের এক অপরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে নিলা ও মতিউরের বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাদেরকে শান্ত করলেও, পরে নিলার ভাই বিভাস চন্দ্র মতিউরকে একা পেয়ে দা দিয়ে আঘাত করে।
এ ঘটনা মতিউরের লোকজন জানতে পেরে গত শুক্রবার বিভাসকে মারধর করে। বিষয়টি নিলার পরিবার থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাটি মিমাংসার চেষ্টা করে। পুলিশ মিমাংসায় ব্যর্থ হয়।
পরে গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার নিতপুর ইউপি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে নেতাকর্মীরা আলোচনায় বসেন। এ সময় হঠাৎ করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পোরশা থানা পুলিশ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ডুকে নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে।
এ সময় পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশ ৫ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক কাজিবুল হক, নিতপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নরশেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক, সদস্য ইমাম হোসেনসহ প্রায় ১০জন গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি এবং আশঙ্কামুক্তদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মতিউরের ভাই নজরুল ইসলামসহ ২জনকে আটক করলেও, পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভুল বুঝা বুঝির কারনে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি।
অপরদিকে, পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন কামালের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করলেও টিয়ারসেল নিক্ষেপের কথা অস্বীকার করেন। এবং এ ব্যাপারে কোন মামলা করা হয়নি বলেও তিনি জানান।