মাধবদীর কাঠালিয়ায় রেলওয়ের জমির উপর অবৈধ্য ভাবে স্থায়ী মার্কেট ও ভবন নির্মান

Photos Rel wyeনরসিংদী থেকে সংবাদদাতাঃ নরসিংদী টু নারায়ণগঞ্জ সাবেক রেল-লাইনের জমির উপর বাঁশ ও টিনের ছাউনি দিয়ে গড়ে উঠা ছোট দোকান প্রভাবশালী মহলের ছত্র ছায়ায় ফাউন্ডেশন দিয়ে অবৈধ্য ভাবে নির্মান করা হচ্ছে ভবন ও মার্কেট। এমনি এক অভিযোগ উঠেছে নরসিংদীসদর থানার নোয়াকান্দী গ্রামের আব্দুর রশিদদের ছেলে কাঠাঁলিয়ার খড়িয়া বাজারের ব্যাবসায়ী ও বিএনপির স্থানীয় নেতা ছাদেকের বিরুদ্ধে।

সরজমিনে জানা যায়, সম্প্রতি নরসিংদী সদর থানাধীন মাধবদীস্থ কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের একাদিক গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসিংদী টু নারায়ণগঞ্জ বন্দরের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ছিল রেল। আর সেই যোগাযোগ মাধ্যম সরকারের ব্যায় বহুল হয়ে পড়লে তা দুই যুগ পূর্বে বন্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে রেল লাইনের রাস্তাকে পরিবর্তন করে তৈরী করা হয় গণপরিবহনের যোগাযোগ মাধ্যম। এই পতিত রেল লাইনের জমিতে কেউ ফসল চাষ আবার কেউ গড়ে তুলে বাঁশ ও টিনের ছাউনি দিয়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্ঠি না থাকায় জমির নিকটবর্তী মালিক ও প্রভাবশালী ব্যাক্তীরা সরকারী লীজ বা দলিল ছাড়া প্রথমে চাষ, পরে ছোট দোকান অবশেষে ভবন নির্মান করছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ের জমিতে কৌশলে একটি ভবন ও মার্কেট নির্মান করার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে ওয়াসকরনী (৪৫) বলেন, আমারা জমির খাজনাদি পরিশোধ করেই স্থানীয় বিএনপির নেতা ও ঢাকার এক ফার্নিসার ব্যাবসায়ীর অর্থায়নে ছোট দোকান থেকে ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মান করছি এই ভবন ও মার্কেট। তাতে বাধা দেওয়ার মত নেই কোন কতুব।
রেলওয়ের জমিতে অবৈধ্য মার্কেট ও ভবন নির্মাতার কথা শিকার করে ছাদেক মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলেন আমি ঢাকায় আসি ।
তিনি আরো বলেন যদি কোন দিন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জমি উচ্ছেদ অভিযানে মার্কেট ভেঙ্গে দেয় দিবে তাতে সাংবাদিকদের কি?
স্থানিয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়,কাঠাঁলিয়া মৌজায় খড়িয়া বাজারে রেলওয়ের সম্পত্তির পরিমান নখশাঁ অনুযায়ী উত্তর ও দক্ষিনে ২নং খতিয়ানে আর এস-৮৩৩,৮৩৬ দাগে ৩৬১ শতাংশ জমি রয়েছে । রেলওয়ের পতিত জমির কোন লিজ বা সরকারী দলিল স্থানিয় ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষর কাছে নাই।
৪ জুলাই সোমবার রাতে কাঠাঁলিয়া ইউপি চ্যায়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ প্রধান বলেন, কাঠাঁলিয়া খড়িয়া বাজারর চৌরাস্তায় রেলওয়ের জমির উপর একাদিক ছোট ছোট টিনের মার্কেট রয়েছে আর কে বা কারা ফাউন্ডেশন দিয়ে মার্কেট করছে তা আমার জানা নাই।
স্থানিয়রা ক্ষোব প্রকাশ করে বলেন, তরা হলেন প্রভাব শালী ভূমি দস্যু তাদের বিরুদ্ধে কেউ বলতে গেলে ও কোন সাংবাদিক লিখতে চাইলে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানী করতে পাড়ে বলে সতর্ক করে দেন, কারন ছাদেকের আমিনুল নামের এক ভাগিনার রয়েছে আইনি ক্ষমতা।
আরো জানা যায়,কাঠাঁলিয়া মৌজাস্থ রেলওয়ের জমির উপর অবৈধ্য স্থাপনার উচ্ছেদ হলে খড়িয়া বাজারের চৌরাস্তায় ঐতিহ্য বাহী স্মৃতি সরুপ একটি গোল চক্তর বানানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন স্থানিয় জন-প্রতিনিধিরা।