দোয়ারাবাজারে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ : জগন্নাথপুরে শিশুর লাশ উদ্ধার
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে শিরীনা (২৫) নামের ২ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের রামশাইর গাঁও গ্রামের আঃ মালেকের পুকুর পাড়ে বাশঁঝার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় শিরীনার লাশটি উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শিরীনা বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর পুত্র রজব আলীর (২৭) স্ত্রী ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের নতুন গুদিগাও গ্রামের আঃ হাকিমের মেয়ে।
পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়,বৃহস্পতিবার সন্ধায় শিরীনা উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের স্বামীর বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে যায় খবর পেয়ে শিরীনার বাবা মা, স্বামী এবং ফুফাত ভাই সবুজ রাত ১২টায় সুনামগঞ্জ থেকে বাংলাবাজারে আসেন। সারারাত এবং সকাল নয়টা অবধি খোজার পর স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পায় শিরীনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শিরীনার ৩ বছরের ১টি ও দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
দোয়ারাবাজারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম নেওয়াজ বলেন আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করতেছি মেয়েটা আত্নহত্যা করেছে তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানতে পারব। তিনি আরো বলেন এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানাতে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে শুক্রবার জগন্নাথপুর পৌর শহরের কেশবপুর এলাকা থেকে মাছুম মিয়া (১১) নামের এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কেশবপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান নুর মিয়া বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাশ ধর্মপাশা থানার ভাটগাঁও গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলের।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সুরুজ আলী দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর মিয়ার বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি সুরুজ আলী আরেকটি বিয়ে করেন বলেও জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, বারান্দার লোহার গ্রিলের সাথে গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন চিৎকার দিলে আশপাশ লোকজন ছুটে এসে থানায় খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।