জগন্নাথপুরে শতাধিক পরিবারের মৌরসী সম্পত্তি বেহাত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার সাত গ্রামের শতাধিক পরিবারের মৌরসী সম্পত্তি ভূমিখেকো চক্রের হাতে তুলে দিয়েছেন সিলেটের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার সুব্রত পাল চৌধুরী। বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুরের ইকড়ছই মৌজার ইকড়ছই, সিলিমপুর, ভবান্নীপুর, হবিবপুর, বলবল গ্রামের শতাধিক লোক সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইকড়ছই মৌজার ইকড়ছই, সিলিমপুর, ভবান্নীপুর, হবিবপুর, বলবল গ্রামের শতাধিক পরিবার বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছেন। ২০০০ সালের মাঠ জরিপেও তাদের পূর্বপুরুষের নামে রেকর্ডকৃত ভূমি তাদের নামে দেওয়া হয়। এ মৌজার পাশ দিয়ে একটি আঞ্চলিক সড়ক হওয়ায় সুনামগঞ্জের কুখ্যাত রাজাকার আছাব আলী ও তার লোকজন শতাধিক পরিবারের ভূমি আত্মসাতে মরিয়া হয়ে উঠে। তারা প্রথমে জগন্নাথপুরের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ করে। কিন্তু শুনানীকালে কোনো দালিলিক প্রমান দিতে না পারায় বিষয়টি সিলেটের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ে গড়ায়। এরই মধ্যে ভূমিখেকো চক্র বিষয়টি কৌশলে ঢাকায় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে স্থানান্তর করায়। শুনানী শেষে অধিদপ্তরের উপ পরিচালক গ্রামবাসীর পক্ষে রায় দেন।
কিন্তু এ রায়কে প্রত্যাখান করে ভূমিখেকোর সিলেটের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার সুব্রত পাল চৌধুরীর সাথে আতাত করে গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) শুনানী শেষে গ্রামবাসীর বক্তব্য কিংবা কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই একতরফা রায় দেন গ্রামবাসীর বিপক্ষে। স্মারকলিপিতে গ্রামবাসী সিলেটের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার সুব্রত পাল চৌধুরীর অপসারণ দাবিসহ সরেজমিনে ঘটনাস্থল তদন্তের জন্য ভূমিমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।