বাঙালী লোকজ কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সঠিক ভাবে লালন করতে হবে
নূপুর সংগীতালয়ের লোক উৎসবে এম পি কেয়া চৌধুরী
জাতীয় সংসদ সদস্য এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেছেন, বাঙালীর লোকজ কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সঠিক ভাবে প্রাচিণ সংগীতের ব্যবহৃত যন্ত্রাদি একতারা, দোতারা, সারিন্দা, বগলি, ডপকি, বাশের বাশি, হারমোনিয়াম ও তবলা দিয়ে আমাদের লোকজ কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সিলেট নূপুর সংগীতালয় ৪২বছর যাবত সিলেটের সংগীতাঙ্গনের ধারাকে চালু রাখায় ধন্যবাদের প্রশংসার দাবিদার। তিনি গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নূপুর সংগীতালয়ের দিন ব্যাপী বৈশাখী লোক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি নুপুর সংগীতালয়কে একসেট হারমোনিয়াম ও একসেট তবলা প্রদানের ঘোষনা করেন। উৎসব পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ড. দিলীপ কুমার দাশ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও শিল্পী শুপ্রিয়া দেবের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব মোঃ মতিউর রহমান, ইমিগ্রেশন এডভাইজার সমাজসেবী ড. আর কে ধর, প্রবাসী কমিটি নারী নেত্রী সমাজসেবীকা মিসেস শোভামতিন, ক্রীড়া ও নারী নেত্রী মিসেস মারিয়া চৌধুরী। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উৎসব পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সংগীতালয়ের পরিচালক কন্ঠশিল্পী তুহিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল মোহাম্মদ, যুব সংগঠক শেখ তোফায়েল হোসেন শেপুল, প্রবিণ শিল্পী কামরুন্নেছা সায়মা। দিনব্যাপী উৎসবের মধ্যে ছিল লোক সংগীত প্রতিযোগিতা, নৃত্য, আবৃত্তি, কৌতুক, যাদু প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, নূপুর সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও শিল্পী সংসদের সহ-সভাপতি প্রবিণ শিল্পী বিশ্বজিৎ শেখর রায়ের দল এবং প্রবিণ বাউল শিল্পী ফকির মোঃ ঈমান আলী। প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি