এবার দোয়ারায় নির্যাতনের শিকার শিশু

tajulদোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: দেশজুড়ে যেন শিশু হত্যা ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। নগরীর কুমারগাঁওয়ে রাজন হত্যার পর থেকে একে একে উঠে আসছে শিশুর প্রতি পাশবিকতা ও নির্মমতার আরেক চিত্র।

এবার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নিজের মামার হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে মো. তাজুল ইসলাম নামের ১০ বছরের এক শিশু। উপড়ে ফেলা হয়েছে তার ৫টি দাঁত। মাদ্রাসা থেকে নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া ছিল তার অপরাধ!

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ধরমপুর গ্রামে তাজুলের উপর এ অমানবিক নির্যাতন চালান তার মামা ফজলে রাব্বি (২৫)।

তাজুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাজুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাখালকান্দি গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে। সে টেবলাই হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। বুধবার সে মাদ্রাসা থেকে চলে যায় তার নানা বাড়ি। সেখানে যাওয়ার পর তার মামা ফজলে রাব্বি তাকে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে কিছু বলতে পারেনি তাজুল। এতে তার মামা ক্ষিপ্ত হন।

পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কোন কারণ ছাড়াই বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে চাবুক বানিয়ে তাজুলকে এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকেন তার মামা ফজলে রাব্বি।

এরপর তার পাঁচটি দাঁত উপড়ে ফেলেন। তাজুলের চিৎকার, আহাজারি থামাতে পারেনি তার মামার পৈশাচিকতা।

পরে খবর পেয়ে তাজুলের সৎ বোন ও সৎ মা রাখালকান্দি থেকে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাজুলকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজারে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু এখানে তাজুলের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় টেবলাই হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা নুরুল হক বলেন, এরকম ঘটনা অমানবিক। তাজুল আমার মাদ্রাসার ছাত্র, সে আমার মাদ্রাসায় থাকত, খুবই নিরিবিলি একটা ছেলে। সে কি এমন দোষ করেছিল যে তার দাঁত উপড়াতে হবে? আমরা এ ধরণের জঘন্যতম ঘটনার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্যাতনের ঘটনার পর থেকেই ফজলে রাব্বি পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।