ভূমিকম্পে নেপালে নিহত নয় শতাধিক, ভারতে ২০
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে নয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অসংখ্য মানুষ। প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে নেপাল, ভারত এবং বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সবচেয়ে বেশী হতাহত হয়েছে নেপালে। নয় শতাধিক নিহতের মধ্যে ৫২৪ জনই মারা গেছে রাজধানী কাঠমান্ডুতে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে। নেপালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পে ভারতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৭৫৮ বলে জানান। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ৭ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আজ দুপুরে নেপালে আঘাত হানে। গত ৮১ বছরের মধ্যে এটাই নেপালের ভয়াবহতম ভূমিকম্প।
এ দিকে নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমিকম্পের কারণে হিমালয়ের বরফ ধসে এভারেস্টের বেজ ক্যাম্পে আটজন নিহত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জ্ঞানেন্দ্র শ্রেষ্ঠ জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিদেশি পর্যটক ও শেরপারা রয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানেও জোরালোভাবে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে।
ভারতে নিহত ২০
টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন নিহত হয়েছে বিহারে। নয়াদিল্লিসহ ভারতের পুরো সীমান্ত এলাকাজুড়ে ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও সিকিমেও এ কম্পন অনুভূত হয়। দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ভারতের দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, আসাম ও রাজস্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পশ্চিমবঙ্গেও তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের কারণে কলকাতার পাতাল রেল চলাচল ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর গভীরতা ছিল ১৫ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৯।
এদিকে ভূমিকম্পে কাঠমান্ডু ও পোখারায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাঠমান্ডুর প্রসিদ্ধ দারাহারা ভবনটি ধসে পড়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপে অন্তত ৫০ জন আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে খবরে জানানো হয়, ভূমিকম্প ৩০ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এতে কাঠমান্ডুতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ঐতিহাসিক বহু ভবন ধসে গেছে। হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র ধীরে ধীরে স্পষ্ট হবে।